প্রবীণদের যত্ন নিন সহজ উপায়ে
- কবিতা আক্তার
- অক্টোবর ২১, ২০২২
প্রবীনদের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত সবারই। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। তখন পরিবারের সবার উচিত ওই প্রবীণের সুস্থতার দিকে নজর রাখা। বেশিরভাগ প্রবীণরাই একাকিত্বে ভোগেন। এ কারণে পরিবারের উচিত প্রবীণকে দূরে ঠেলে না দিয়ে বরং তাকে সময় দেওয়া, বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। আরো যেভাবে প্রবীণদের যত্ন নেবেন...
ক্ষমাশীলদৃষ্টিতে দেখুন: মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। এজন্য বৃদ্ধরা যেকোনো সময় যে কোন বিষয়েই নানা ধরনের মন্তব্য করেন। তবে তাদের কথায় কান দেবেন না, বরং তাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখুন। তবে আচরণে হয়তো আপনার পছন্দমত নাও হতে পারে, তবুও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। কারণ প্রবীণরাও কিন্তু শিশুর মতই।
আরো পড়ুনঃ গরমে ঘর শীতল রাখে যেসব ইনডোর প্লান্ট
স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখুন: বৃদ্ধ বয়সে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রমে ভোগেন বেশিরভাগ প্রবীণ। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, অস্টিওপরেসিস, চোখের অসুখ, পুরুষদের প্রোস্টেট গ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া, কিডনিতে ও লিভারের নানা সমস্যায় ভোগেন অনেক প্রবীণরা।
আসলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার ফলে এই সময় মানুষ খুব সহজে জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত হন। সুতরাং বাড়ির প্রবীণ মানুষটি যদি কোন রোগে আক্রান্ত হন তাহলে অবশ্যই তার সঠিক যত্ন নিতে হবে।
নিয়মিত চেকআপ করুন: প্রয়োজনে পরিবারের লোকজনদের তাকে নিয়মিত চিকিৎসকের চেকআপে রাখতে হবে। চিকিৎসক যে চিকিৎসা দেবে সে অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াতে হবে। এই সময় প্রবীণ বাবা-মা হয়তো ঔষধ মনে রাখতে পারে না। তাই তাকে নিয়ম করে ঔষধ খাওয়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ অ্যান্টিক পিসের যত্নআত্তি
বিনোদনমূলক ব্যবস্থা রাখুন: প্রবীণের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিনোদনমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখুন। পরিবারের সবার সঙ্গে যদি সময় কাটাতে পছন্দ করেন প্রবীণ তাহলে তাকে বেশি সময় দিন। এছাড়া টিভি দেখা, গান শোনা, বই পড়া সহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের ব্যবস্থা রাখুন প্রবীণ এর কাছে।