সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু ভালোবাসায় যথেষ্ট?
- ওমেন্স কর্নার
- মার্চ ২০, ২০২৩
প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ভালবাসার মাধ্যমে। এর থেকেই দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষ একে অপরের সঙ্গে আজীবন কাটানোর প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে। অতঃপর তাদের বিয়ে হয় ও এক ছাদের নিচে সংসার শুরু করেন দুজনেই।
তবে দাম্পত্য নানা বিষয় নিয়ে কলহ বা অশান্তি হতেই পারে। অনেকের ক্ষেত্রে তা মোড় নেয় বিবাহ বিচ্ছেদে। সম্পর্ক বিশারদদের মতে, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে শুধু ভালোবাসায় যথেষ্ট নয়। পারিপার্শ্বিক আরো বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
আরো পড়ুনঃ সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে মেনে চলুন কিছু টিপস
বিশেষজ্ঞরা জানান ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে উভয় অংশীদারের মধ্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ সামঞ্জস্য, বোঝাপড়া, পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, আনুগত্য, সততা, যৌন সামঞ্জস্য সহ আরো অনেক বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এসব বিষয় বোঝাপড়া ভালো থাকলে তারা একে অপরের পরিপূরক হতে সক্ষম হয়। দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে ভালবাসার পাশাপাশি আরো যা যা জরুরী-
১. দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ থাকা জরুরী। সঙ্গীর মতামতকে মূল্যায়ন করা, সমস্যা বোঝা ও চাহিদা সম্পর্ক অবগত থাকতে হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক এড়িয়ে শক্তিশালী করার সর্বোত্তম উপায় এটি। এটি নিশ্চিত করতে হবে যে উভয় অংশীদার একে অপরের আশেপাশে থাকাকালীন নিরাপদ বোধ করেন কিনা।
২. সম্পর্কে সততা ও বিশ্বাস বজায় রাখতে হবে। প্রিয়জনের প্রতি আপনি যতটা লয়্যাল থাকবেন, তিনিও ততটাই আপনাকে ভালোবাসবেন। একটি সম্পর্ক টিকে থাকে বিশ্বাসের উপর। আর যখনই একে অপরের উপর থেকে বিশ্বাস চলে যায় তখনই সংসার ভেঙে যায়। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সঙ্গীর সঙ্গে সৎ থাকাটা জরুরী।
আরো পড়ুনঃ বউ শাশুড়ির সম্পর্ক সুন্দর হবে যেসব নিয়ম মানলে
৩. নিয়মিত যোগাযোগ রাখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দিনে বেশ কয়েকবার সঙ্গীর খোঁজখবর নেওয়া উচিত স্বামী স্ত্রীর উভয়েরই। এমনকি কর্মব্যস্ত জীবনে যতোটুকু অবসর সময় পান নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত না থেকে সঙ্গীকে সময় দিন। তার মনের কথা জানার চেষ্টা করুন। বেশিরভাগ দম্পতির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয় যোগাযোগের অভাবে। তাই এদিকে বিশেষ সতর্ক থাকুন।
৪. দাম্পত্য জীবনে স্বামী স্ত্রী দুজনেরই উচিত একে অন্যের প্রতি শেয়ারিং ও কেয়ারিং হওয়া। সাংসারিক কাছ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দায়-দায়িত্ব সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমে সংসার সুখের করতে পারেন। এ অভ্যাস যেসব দম্পতির মধ্যে নেই তাদের মনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা থাকলেও তা একসময় কমে যায়।
৫. শারীরিক স্পর্শ ও যৌন অন্তরঙ্গতা বজায় রাখার মাধ্যমে দাম্পত্য সম্পর্ক আরো গাঢ় হয়। সঙ্গীর হাত ধরা, আলিঙ্গন করা কিংবা খুনসুটি ইত্যাদি দুজনের মধ্যকার যৌন ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়। এ অভ্যাসগুলো দুজন মানুষকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। ভালোবাসার পাশাপাশি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে দুজনের মধ্যে যৌন সামঞ্জস্যতাও জরুরী।