একাকীত্ব কাটিয়ে ওঠার সহজ উপায়

  • কবিতা আক্তার
  • সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩

একাকীত্ব ও নিঃসঙ্গতা মানুষের বেঁচে থাকার আনন্দ কেড়ে নেয়। একাকী মানুষেরা স্বভাবতই তার আশেপাশে কাউকে পান না বলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। আর মানসিক অস্থিরতার দরুন তারা আত্মহত্যার মতো পথ ও বেছে নেন। বর্তমান বিশ্বে মানুষের মধ্যে একাকীত্ব অনেক বেড়েছে।
একাকিত্বের সঙ্গে লড়াই করবেন ও ভালো থাকবেন। বেশিরভাগ মানুষই একাকিত্বের কাছে হেরে যান। তাই নিজেকে ভালো রাখতে নিজেই এগিয়ে আসুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক-

- একাকী ব্যক্তিরা সব সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেই ভালোবাসেন। পরিবার কিংবা প্রিয়জনের কাছ থেকে আলাদা বা বিচ্ছিন্ন থাকায় তারা মনের কষ্টে অন্যদেরকে এড়িয়ে চলেন। এমনটি করবেন না। নিজেকে সবার সামনে মেলে ধরুন। লুকিয়ে থাকবেন না ঘরের কোণে।

আরো পড়ুনঃ আপনার শিশুকে বাধ্য করবেন যেভাবে

- সময় কাটানোর জন্য এবং অন্যের ভালো করতে চাইলে একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত করুন।দেখবেন নিঃসঙ্গতা পালিয়ে যাবে। সমাজ, মানুষ ও অবহেলিতদের জন্য কিছু করুন। দেখবেন মনে শান্তি পাবেন ও ভালো থাকবেন।

- বয়স্ক ব্যক্তিরাই একাকীত্ব বেশি ভোগেন। বয়সের কাছে হার মেনে যাওয়ার কারণেই তারা নিঃসঙ্গ বোধ করেন। এ সময় চাইলে পুরানো কোন শখ বাস্তবায়ন করতে পারেন। বয়স কোনো বিষয় নয়, তাই হেরে না গিয়ে নিজের যা ভালো লাগে তাই করুন।

আরো পড়ুনঃ মানসিক চাপ বা উদ্বেগ কমাবে যেসব সুগন্ধি

- বর্তমানে ছোট বড় সবাই ডিজিটাল টেকনোলজিতে আসক্ত। যা অনেকের জীবনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। ধরুন, একজন ব্যক্তি তার পরিবার নিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। যে ব্যক্তি তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বা একাই বাস করেন, তিনি ওই ছবি দেখলে তো কষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। তাই ডিজিটাল টেকনোলজি কম ব্যবহার করুন।

- কারো যত্ন নেওয়া একাকিত্বের অনুভূতি কমাতে পারে। তাই ঘরে একটি পোষ্য রাখুন। দেখবেন পোষ্যের যত্ন নিতে নিতে সময় কেটে যাবে আপনার।

আরো পড়ুনঃ জামের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত

- একটি অর্থপূর্ণ জীবনের জন্য উদ্দেশ্য ঠিক করা জরুরী। আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। যখনই ভাববেন জীবনের সবকিছু শেষ হয়ে গেছে ঠিক তখনই নতুন ভাবে জীবন গড়ার বিষয়ে ভাবুন।

- খুবই নিঃসঙ্গতা বোধ করলে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। চাইলে নতুন বন্ধুও খুজে নিতে পারেন।

- আপনার একাকীত্ব যদি আত্মহননের পথে নিয়ে যায় তাহলে দ্রুত থেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মনোবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে দেখবেন আপনি আবারো বেঁচে থাকার আনন্দ ফিরে পাবেন।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment