বিয়ে করতে যাচ্ছেন? এই ৫ বিষয়ে আলোচনা করে নিন
- ওমেন্স কর্নার
- মার্চ ২১, ২০২৪
বিয়ের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একদমই তাড়াহুড়ো করবেন না। বিয়ে করার আগে কিছু বিবেচনা করা প্রয়োজন। যদিও একথা সত্যি যে মানুষ খুব অল্পদিনেই চেনা মুশকিল। কিন্তু কিছু বিষয়ে মতামত জেনে নিলে আপনি বুঝতে পারবেন, মানুষটি আপনার জন্য কি না। যদি বিয়ের পরে সবকিছুতেই মতের অমিল হতে থাকে তাহলে দাম্পত্য জীবন সুখকর হবে না। সেই সম্পর্ক চালিয়ে নেওয়াই মুশকিল হবে। বিয়ের আগে ৫টি বিষয়ে আলোচনা করে নিন-
১. অর্থ এবং আয়
আর্থিক পরিকল্পনার অভাব বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সাধারণ কারণ হতে পারে। বিয়ে করার ক্ষেত্রে আর্থিক দিক বিবেচনা করতে হবে। বিবাহিত জীবন শুরু করার জন্য উভয়কেই আর্থিকভাবে স্থিতিশীল এবং নিরাপদ হওয়া উচিত। দ্বন্দ্ব এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে ঋণ, আয় এবং বিনিয়োগ সম্পর্কে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ।
২. স্বপ্ন এবং লক্ষ্য
সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনুভূতি ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে। ব্যক্তিগত এবং সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষাগুলোকে একত্রিত করা উচিত। উভয়েরই বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা উচিত। সফল দাম্পত্য জীবনের জন্য দুজনেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন। যৌথ উদ্যোগ এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার ফলে সুখী হওয়া সহজ হয়। তাই বিয়ের আগেই হবু জীবনসঙ্গীর সঙ্গে স্বপ্ন এবং দর্শন নিয়ে আলোচনা করুন। এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন:
সম্পর্ক তাড়াতাড়ি ভাঙে যেসব কারণে
প্রিয় মানুষের মন ভালো করতে কি করবেন
স্ত্রীর কাছে কোন ৫ জিনিস কখনো লুকাবেন না
৩. পারিবারিক পটভূমি এবং সংস্কৃতি
নতুন জীবন শুরু করার আগে আপনার হবু জীবনসঙ্গীর সামাজিক অবস্থা এবং পারিবারিক পটভূমি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং পারিবারিক মূল্যবোধ বুঝতে পারলে তা একটি পরিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাংস্কৃতিক পার্থক্যকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং একে অপরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনা করে নিন।
৪. পরিবার পরিকল্পনা
পরিবার পরিকল্পনা হলো আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাক-বৈবাহিক আলোচনা যা উপেক্ষা করলে বিচ্ছেদ পর্যন্ত ঘটতে পারে। বিয়ের আগে পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা উচিত। এতে দুজনের ইচ্ছা সম্পর্কে আগেভাগেই জেনে নেওয়া যাবে।
৫. ক্যারিয়ার সম্পর্কে আলোচনা
আপনার কাজের প্রকৃতি আপনার ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। অনেক সময় কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হতে পারে। কাজের ক্ষেত্রে পছন্দ এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে আলোচনা করে নিন বিয়ের আগেই। এটি কর্ম ও পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।