আপনি কি টক্সিক প্যারেন্ট? বুঝে নিন এই ৫ লক্ষণে
- ওমেন্স কর্নার
- জুন ৩, ২০২৪
বাবা-মা হওয়া নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। কিন্তু একই সঙ্গে একটি শিশুকে সঠিকভাবে বড় করার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পালন করতে হয় বাবা-মাকে। যত্ন, ভালোবাসার পাশাপাশি সঠিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন সন্তান প্রতিপালন করতে। শিশুকে বড় করার জন্য ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখা খুবই জরুরি। কিন্তু অনেক সময় বাবা-মায়ের ভুলেই শিশুর বিকাশ হতে পারে বাধাগ্রস্ত। টক্সিক প্যারেন্টিং বা ক্ষতিকারক প্যারেন্টিংয়ের ৫ লক্ষণ জেনে নিন।
১। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা হতে হবে নিঃস্বার্থ। শিশু নির্দিষ্ট প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে যদি আপনার আচরণ বদলে যায়, তবে বুঝতে হবে আপনার প্যারেন্টিং পদ্ধতি সঠিক নয়। শর্তযুক্ত ভালোবাসা শিশুর বিকাশের জন্য অনুপযুক্ত। এতে এমন পরিবেশ তৈরি হয় যেখানে শিশুরা ক্রমাগত বৈধতা এবং অনুমোদন খোঁজে, যা তাদের আত্মসম্মান এবং মানসিক সুস্থতাকে প্রভাবিত করে। সন্তানকে ভালোবাসুন সবকিছুর আগে। তার ব্যর্থতায় সাহস জোগান।
২। শিশুদের গাইড করার জন্য শৃঙ্খলা অপরিহার্য, কিন্তু এর জন্য অতিরিক্ত শাস্তি প্রদান করা বা অপরাধের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবহার করা অনুচিত। এটি শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এটি বোঝানোর বদলে সন্তানদের মধ্যে ভয় তৈরি করা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশু বিরক্ত ও বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুন:
হেলিকপ্টার প্যারেন্টিং কী? না জেনে সন্তানের ক্ষতি করছেন না তো?
জেনে নিন জেলিফিশ প্যারেন্টিং আপনার সন্তানের জন্য ভালো না খারাপ!
শিশু দেরিতে হাঁটতে শিখলে যা করবেন
শিশুকে যে কথাগুলো কখনো বলবেন না
৩। শিশুর সব কাজে ভুল ধরেন? এটি কিন্তু টক্সিক প্যারেন্টিংয়ের অন্যতম লক্ষণ। কাজের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া জরুরি। কিন্তু ক্রমাগত সমালোচনা হতাশাজনক এবং ধ্বংসাত্মক হতে পারে। অভ্যাসগতভাবে সন্তানদের কাজকর্ম, চেহারা বা কৃতিত্বের মধ্যে ত্রুটি খুঁজে পায় টক্সিক প্যারেন্টরা। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরমভাবে।
৪। নিজের প্রত্যাশার ভার শিশুর উপর চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। অবাস্তব প্রত্যাশা শিশু পূরণ করতে পারে না। টক্সিক প্যারেন্ট জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পারদর্শী হওয়ার জন্য সন্তানদের উপর চাপ প্রয়োগ করে। এতে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়।
৫। শিশুদের মধ্যে স্বায়ত্তশাসন এবং স্বাধীনতা তৈরির জন্য ব্যক্তিগত সীমানাকে সম্মান করা অপরিহার্য। টক্সিক প্যারেন্টরা সন্তানদের ব্যক্তিগত সিমানা বা তাদের গোপনীয়তার ব্যাপারে সচেতন থাকে না। এতে তাদের নিজস্ব চাহিদা এবং ইচ্ছা প্রকাশ করার ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়।