স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে? যেসব বিষয় মেনে চলবেন
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ১৭, ২০২৪
অনেক দম্পতি একই অফিস, একই দপ্তরের ও একই বিভাগে চাকরি করেন। অনেকেই বলেন, স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে কাজ করলে ব্যক্তিগত জীবনে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। সে ক্ষেত্রে পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখা সম্ভব হয় না। কিন্তু সব ক্ষেত্রে তা হয় না। বরং, দু’জনেই যদি কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে চলেন, তা হলে অফিসে কাজেও মনোযোগ দেওয়া যায় এবং সাংসারিক জীবনকেও আলাদা রাখা সম্ভব হয়।
অফিস আর বাড়ি মিলিয়ে ফেলবেন না
অফিস কাজের জায়গা। সেখানে পাশাপাশি বসে কাজ করলেও আপনারা একে অপরের সহকর্মী। ব্যক্তিগত সম্পর্ককে অফিসে টেনে না আনাই ভাল। সংসারের কথা আলোচনা, ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা না করাই উচিত। বরং অফিসের সময়টুকু কাজের কথাই বলুন। ব্যক্তিগত সম্পর্কে মনোমালিন্য হলেও তা বাইরে আসতে দেবেন না। দু’জনকেই তাঁদের কাজকে আলাদা আলাদা গুরুত্ব দিতেই হবে।
আগ বাড়িয়ে সাহায্য করা যাবে না
আপনার স্বামী বা স্ত্রী মানেই সব কাজে তাঁকে সাহায্য করতে ছুটে যাবেন না। অফিসে তাঁর কাজের ব্যাপারে সিদ্ধান্তও নেবেন না। তিনি কী কাজ করছেন, কত ক্ষণ করছেন, কার সঙ্গে কথা বলছেন— এই বিষয়গুলোকে এড়িয়ে যান। অফিসে কর্তৃত্ব ফলানোর চেষ্টা অথবা সব সময়ে সমর্থন করে কথা বলা বা সাহায্য করার চেষ্টা, দৃষ্টিকটু!
আরো পড়ুন:
এই ৫ কথা প্রকাশ্যে না বলাই ভালো
ফেসবুকে কেউ ‘আনফ্রেন্ড’ করলে কী করবেন
আপনার সঙ্গী কি মাইক্রোচিটিং করছে
সঙ্গীর সঙ্গে যে ৭টি বিষয় নিয়ে কথা না বললে নিজেরই ক্ষতি করবেন
অফিসে দূরত্ব রাখুন
টিফিন বরং অন্য সহকর্মীদের সঙ্গেই খেতে যান। স্বামী বা স্ত্রীকেও তাঁর মতো ছেড়ে দিন। সব সময়ে ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকলে বা একসঙ্গে সব কাজ করলে, আপনাদের নিয়ে আড়ালে কথা হতে বাধ্য। অফিসে সারা ক্ষণ মেসেজে চ্যাট, মেলে কথা বলা বা ফেসবুক চ্যাট করা থেকে বিরত থাকুন। বরং চেষ্টা করুন মাঝেমধ্যে আলাদা বাড়ি ফেরার। কোনও ব্যক্তিগত কথা বলার থাকলে বা একসঙ্গে কোথাও যাওয়ার থাকলে অফিসের বাইরে দেখা করুন।
কথা কাটাকাটি নয়
একে অপরের কোনও কথা বা ব্যবহার পছন্দ না হলে, তা নিয়ে পরে আলোচনা করুন। সেই মুহূর্তে চুপ করে যান। অফিসে যদি একে অপরের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তা হলে বাকিরা আড়ালে কৌতুক করবে। চেষ্টা করবেন যাতে অফিসে পরস্পরের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে না পড়েন। যদি আলাদা বিভাগ হয় তা হলে অসুবিধা নেই, কিন্তু দু’জনেই একই বিভাগে থাকলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপনাদের বসার জায়গাতেও দূরত্ব রাখুন। তা হলেই কাজে মনোযোগ আসবে।
বাড়ি ফিরে আর অফিস নয়
অফিসে যেমন সাংসারিক কথাবার্তা বলবেন না, তেমনই বাড়িতে ফিরে আর অফিস নিয়ে কথা বলবেন না। সেই সময়টুকু পরস্পরকে দিন। বাড়ি ফিরেও যদি অফিসের কাজ নিয়ে কথা হয় অথবা সহকর্মীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন, তা হলে তার প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনে পড়তে বাধ্য। কেউ কারও কাজ নিয়ে আলোচনাও করবেন না অথবা উপদেশও দেবেন না। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভাল থাকলে সব রকম সমস্যার সমাধানই করতে পারবেন সহজে।