আপনি কি টক্সিক রিলেশনশিপে আছেন? বুঝবেন যেভাবে
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ২১, ২০২৪
সম্পর্কে পারস্পরিক শ্রদ্ধা থাকা, একে অপরকে সাহায্য করা ও বুঝতে পারাটাই একটা সুস্থ স্বাভাবিক। কিন্তু বর্তমানে স্বামী-স্ত্রী হোক বা প্রেমিক-প্রেমিকা, অনেক সময়ই কিছু না কিছু কারণে সম্পর্ক তিক্ত হতে শুরু করে। একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে।
সম্পর্ক যদি টক্সিক বা বিষাক্ত হয়ে ওঠে তবে তা সংশোধন করা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যথায় এটি আপনার জীবন ও আত্মসম্মানকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে পারে যেখানে দুজনের আত্মসম্মান দুর্বল হতে পারে। ইতিবাচক জিনিসগুলোর জায়গায় হিংসা, হতাশায় ভরে যায়। সম্পর্কের মধ্যে সন্দেহ বাড়তে থাকে।
জেনে নিতে পারেন টক্সিক রিলেশনশিপের লক্ষণগুলো কী কী। যদি মিলে যায় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ ধরনের সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা উচিত।
অনুভূতি না বোঝা
অনেক সময় পুরুষ বা নারী তার সঙ্গীকে নির্দিষ্ট কিছু বলতে পারে না। কিন্তু দিনের পর দিন কেউ যদি কিছু বলে এবং অন্য ব্যক্তি তা বুঝতে না পারে বা অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব সহকারে না নেয়, তবে এটি একটি বিষাক্ত সম্পর্কের লক্ষণ হতে পারে।
আরো পড়ুন:
যে ১০ ভুলের কারণে অন্ধকার হতে পারে শিশুর ভবিষ্যৎ
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ভুলেও যে ৬টি কাজ করবেন না
স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে? যেসব বিষয় মেনে চলবেন
সম্মানিত হতে চান? করুন এই ৫ কাজ
নেতিবাচকতা
অনেক সময় সম্পর্কে উভয়ই একে অপরকে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাতে পারেন না। সেই ব্যাখ্যা কখন যুক্তিতে রূপ নেয় তা জানা যায় না। এরপর মনে ক্রমাগত নেতিবাচকতা আসে এবং মন খারাপ হয়। যা একটি টক্সিক রিলেশনশিপের দিকে যায়, তাই এটি এড়িয়ে চলুন।
নিয়ন্ত্রণ
এটি পুরুষ ও নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে অন্য ব্যক্তিকে আপনি যা চান তাই করান, তাহলে সম্পর্ক ভেঙে যেতে বাধ্য। দীর্ঘমেয়াদে কাউকে নিয়ন্ত্রণ করা ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
ঈর্ষা অনুভব
সম্পর্কে ঈর্ষান্বিত হওয়া একেবারেই ঠিক নয়। আপনি যদি সঙ্গীকে কারও সঙ্গে দেখে ঈর্ষান্বিত হন বা অতিরিক্ত অধিকার প্রদর্শন করেন তবে আপনার এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
সমালোচনা
গঠনমূলক আলোচনা একটি সুস্থ সম্পর্ককে শক্তিশালী করতে পারে। কিন্তু ক্রমাগত কারও সমালোচনা করলে আপনার সম্পর্ক বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে।
খোলামেলা আলোচনা
ধরুন আপনার সঙ্গীর সঙ্গে কোনো কিছু নিয়ে ঝগড়া হয়েছে। এখন আপনি যদি কথা বলা বন্ধ করেন এবং সমস্যাটি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা না করেন, তাহলে উভয়ের মধ্যে দূরত্ব বাড়বে এবং যখনই আপনি কথা বলার চেষ্টা করবেন অন্যজন অবশ্যই সেই বিষয়টি নিয়ে আসবেন। সেক্ষেত্রে অন্যজন বিরক্ত হন এবং এরপর অশান্তি বাড়তে পারে। তাই সবসময় যেকোনো বিষয় পরিষ্কার রাখুন।
পোস্ট ক্রেডিট: ঢাকা পোস্ট