নব বিবাহিতরা যে ৩ বিষয় মেনে চলবেন

  • ওমেন্স কর্নার
  • আগস্ট ২৮, ২০২৪

প্রিয় মানুষটির সঙ্গে একটি নতুন জীবন শুরু করা নিঃসন্দেহে আনন্দজনক। বিয়ে মানে দু’টি মানুষের একসঙ্গে পথচলার শুরু। সেই চলার পথে প্রয়োজন পরে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা, যত্ন, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার। সুখ আর দুঃখ দু’জন মিলে ভাগাভাগি করে নিতে হয়। তবেই জীবন হয় সুন্দর। বিয়ে মানেই জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জ।  সেই চ্যালেঞ্জ থেকে পালিয়ে বেড়ালে হবে না। বরং তার মুখোমুখি হয়েই জীবনকে সুন্দর করতে হবে। নতুন বিয়ে করেছেন? এই ৩ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে-

একে অপরের সম্পর্কে জানুন

একে অপরের সম্পর্কে জানার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করতে হবে। এটি একটি সুখী বিবাহিত জীবনের জন্য দুর্দান্ত উপায়। সব সময় সঙ্গীর সম্পর্কে নতুন কিছু জানার চেষ্টা করা উচিত, যেমন তার সাম্প্রতিক আগ্রহ, অবসর সময়ে কী করতে পছন্দ করে, তার আকাঙ্খা, ভবিষ্যতের লক্ষ্য, স্বপ্ন এবং এমনকী তার পছন্দের খাবার বা পছন্দের জায়গার মতো ছোট জিনিসগুলোও। সঙ্গী সম্পর্কে এই ছোট ছোট জানা একটি ছোট জিনিস বলে মনে হতে পারে, তবে এটি অবশ্যই আপনাদের সম্পর্কের ওপর একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। কারণ এটি আপনার প্রচেষ্টা, যত্ন, মূল্য এবং তার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করবে। যা শেষ পর্যন্ত আপনাদের বন্ধনকে শক্তিশালী করবে।

পাশে থাকুন

সব সময় মনে রাখা উচিত যে সঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা এবং তার সুখে-দুখে তার পাশে থাকা সুখী বিবাহিত জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। আপনার প্রতি তার ছোট ছোট দায়িত্বের প্রশংসা করুন। সম্পর্কের বয়স বাড়তে শুরু করলে অনেকে এসব ছোট ছোট বিষয়ে খেয়াল রাখা বন্ধ করে দেন। কিন্তু মনে রাখবেন, সম্পর্ককে পুরোনো হতে দেওয়া যাবে না। তাহলেই তা একঘেয়ে লাগতে শুরু করবে। তখন একটি সুখী বৈবাহিক জীবন কাটানো কঠিন হয়ে যাবে। সুযোগ পেলেই তাই সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরুন। তার পাশ ঘেঁষে বসুন। পাশাপাশি হাঁটার সময় তার হাত ধরে রাখুন। তাকে পেয়ে আপনি কতটা ভাগ্যবান বা ভাগ্যবতী সেকথা মাঝে মাঝেই মনে করিয়ে দিন। সম্পর্ক সুন্দর হবেই।

আরো পড়ুন:
স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে? যেসব বিষয় মেনে চলবেন
সম্মানিত হতে চান? করুন এই ৫ কাজ
ইতিবাচক হতে চান? জেনে নিন কী করবেন
নতুন সংসারে মানিয়ে নেয়ার ১০টি উপায় জেনে নিন 
ক্ষমা করুন

ক্ষমা একটি সুখী এবং দীর্ঘস্থায়ী দাম্পত্যের চাবিকাঠি। এমন অনেক সময় আছে যখন সঙ্গীর প্রতি ক্ষোভ ধরে রাখার পরিবর্তে ক্ষমা করা জরুরি হয়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যকার দূরত্ব কমাতে বা বিচ্ছেদ ঠেকাতে ক্ষমা করা কেো কখনো অপরিহার্য। তাই বিরক্তি না ধরে একে অপরকে ক্ষমা করুন।

এটি একটি সম্পর্ককে কার্যকর রাখার জন্য অপরিহার্য। অনেক সময় ক্ষমা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, তবে কোন বিষয়ে আপনি অসন্তুষ্ট তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিন। এরপর তাকে ক্ষমা করে দিন। তবে পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন তাকে আঘাত করে এমন ভাষা ব্যবহার করবেন না। কারণ কথার আঘাত অনেক গুরুতর। ঠান্ডা মাথায় যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দিতে শিখুন। সম্পর্ক সুন্দর রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

পোস্ট ক্রেডিট: ঢাকা পোস্ট 
ছবি: সিএনএন 

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment