যে সাত কারণে দম্পতিরা আকর্ষণ হারায়

  • ওমেন্স কর্নার
  • সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪

দম্পতিরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে থাকেন। তারা জীবনের দীর্ঘ সময় এক সাথে কাটান। জীবনের সুন্দর মুহূর্তগুলো ভাগ করে নেন। এক সাথে স্মৃতি তৈরি করেন। সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে অনেক সময় দুইজনের মাঝে একটা দূরত্ব চলে আসে।  আগের মত উত্সাহ দেখা যায় না। এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে। তাই দম্পতিদের কিছু জিনিস মেনে চলা উচিত। যা দুইজনের মাঝে আকর্ষণ বজায় রাখবে।

সার্টিফাইড ম্যারেজ অ্যান্ড রিলেশনশিপ কোচ আমান্ডা টুইগস, সাতটি কারণ শেয়ার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন কেন দম্পতিরা তাদের মাঝে উত্সাহ হারিয়ে ফেলেন। তিনি এও বলেছেন যে, কিভাবে এই আকর্ষণ বা উৎসাহ ফিরে পাওয়া যায়।

অপূরণীয় চাহিদা

সম্পর্কের মাঝে চাহিদাগুলো পূরণ করা জরুরি। সে ক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দায়িত্ব তাদের সঙ্গীর প্রয়োজন সম্পর্কে জানা। তা না হলে একাকীত্ব বাড়তে থাকে। শূন্যতার কারণে একে অপরকে বিরক্ত লাগা শুরু হয়। এ ধরণের সমস্যা সমাধানের জন্য পেশাদার সহায়তা প্রয়োজন।

একঘেয়েমি

মাঝে মাঝে কাজ থেকে নিজেকে মুক্তি দিন। ক্রিয়াকলাপ, কথোপকথন এবং স্থান পরিবর্তন করুন। জীবনে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। একঘেয়েমি দূর করুন। সঙ্গীর সাথে নানা অ্যাডভেঞ্চার মূলক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করুন।

আরো পড়ুন:
স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ভুলেও যে ৬টি কাজ করবেন না
স্বামী-স্ত্রী একই অফিসে? যেসব বিষয় মেনে চলবেন
সম্মানিত হতে চান? করুন এই ৫ কাজ
নতুন সংসারে মানিয়ে নেয়ার ১০টি উপায় জেনে নিন 
যোগাযোগের অভাব

দম্পতিরা প্রায়ই যোগাযোগ করা এড়িয়ে চলেন। বিশেষ করে, যখন তারা মনে করেন যে, এটি দ্বন্দ্বের দিকে পরিচালিত করবে। উন্মুক্ত ও সৎ যোগাযোগ একটি সমৃদ্ধ সম্পর্কের ভিত্তি। সঙ্গীর সাথে একটি স্বাস্থ্যকর যোগাযোগ বজায় রাখুন। এতে অন্তরঙ্গতা বাড়বে।

সময়ের অভাব

একটা সময়ের পর দম্পতিরা তাদের সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়া বন্ধ করে দেয়।  যা সম্পর্ক ধ্বংস করে। নিজের পেশাগত কাজ বা ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। একে অপরের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটানোর চেষ্টা আর থাকে না। এটি সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। সঙ্গীর সাথে আচার-অনুষ্ঠানে যোগ দিন। সুন্দর স্মৃতি গড়ে তুলুন।  এটি আপনার সম্পর্কের ভিত্তিকে শক্তিশালী করবে।

শারীরিক অন্তরঙ্গতার অভাব

একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য স্পর্শ করা, হাত ধরা এবং আলিঙ্গন করা প্রয়োজন। সঙ্গীকে স্পর্শ করুন। তাকে আপনার অনুভূতি বুঝান। এতে ভালবাসা গভীর হবে। সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণ কমার বদলে বাড়তে থাকবে।

অমীমাংসিত সমস্যা

সম্পর্কে থাকা সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাবেন না। এটি খুব ক্ষতিকারক।  অমীমাংসিত দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক নষ্ট হতে দেবেন না। সঙ্গীর সাথে কথা বলুন। সমস্যা সংশোধন করুন। অতীতের ব্যথা নিরাময় করুন। সঙ্গীকে ক্ষমা করুন।

স্ট্রেস

দম্পতিরা প্রায়ই তাদের চারপাশের চাপ ব্যক্তি জীবনে নিয়ে আসে। বিশেষ করে, কর্মজীবনের স্ট্রেস মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলে। মানসিক সুস্থতা লালন করার জন্য কার্যকর মোকাবেলার কৌশলগুলো শিখুন। বাইরের জীবনের চাপ নিয়ে সঙ্গীর ওপর প্রভাব ফেলবেন না।

সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস
ছবি: Counselling Directory

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Comment