আপনি কি বারবার প্রেমে পড়েন? আপনার এই সমস্যা থাকতে পারে
- ওমেন্স কর্নার
- সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪
প্রথম দেখায় প্রেম হয় কারও কারও। সম্পূর্ণ অচেনা একজন মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হয়, ‘আমি তো এ মানুষটার অপেক্ষাতেই ছিলাম!’ জীবনে এক-দুবার এমন অনুভূতি হতে পারে অনেকেরই। এতে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু বারবার এমন ভালো লাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হওয়াটা কি আদতে ভালো কোনো ব্যাপার?
প্রেম নিঃসন্দেহে অমূল্য এক সুখানুভূতি। কিন্তু এই অনুভূতি যেমন শুধু এক পক্ষের থাকলেই চলে না, তেমনি এর মাঝে থাকতে হয় বিশ্বাস, ভরসা আর প্রতিশ্রুতি। বারবার প্রেমে পড়লে কেবল সুখটুকুই থাকে, বাকি বিষয়গুলো অল্প কয়েক দিনেই হারিয়ে যায় কিংবা আদতে এগুলোর সৃষ্টিই হয় না। তাই সুখটাও হয় নিতান্তই সাময়িক এক ব্যাপার।
বারবার চট করে প্রেমে পড়ার এ ব্যাপারটি অল্প কিছু মানুষের সঙ্গেই ঘটে, বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ইমোফিলিয়া। তবে আপনি সত্যিই ইমোফিলিয়ায় আক্রান্ত কি না, সরাসরি কোনো পরীক্ষার মাধ্যমে তা বলার উপায় অবশ্য বাতলে দেওয়া যায় না। কারণ, এটি কোনো রোগ নয়। এর চেয়ে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যার ব্যাপারে। আপনার এমন সমস্যা থাকতে পারে কি না, তার প্রাথমিক ধারণা আপনি নিজে যাচাই করতে পারেন এভাবে—
সম্পর্কের অস্থিতি
ইমোফিলিয়ায় আক্রান্ত মানুষ সম্পর্কে থিতু হতে অসুবিধায় পড়তে পারেন। প্রায়ই নতুন কারও প্রেমে পড়ায় ঘন ঘন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা থাকে। সম্পর্কের প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন তিনি। সহপাঠী বা সহকর্মীদের কাছে হাস্যকর মানুষে পরিণত হতে পারেন। বিশেষত বিয়ের পরও নতুন নতুন সম্পর্কে জড়ালে সামাজিকভাবে অস্থিতিশীল একটা অবস্থায় চলে যেতে পারেন তিনি।
আরো পড়ুন:
বউয়ের কথা শুনে চললেই সুস্থ থাকবেন স্বামী: গবেষণা
বিবাহিত পুরুষের আয়ু বেশি: বলছে গবেষণা
বিয়ের কথা শুনলেই ভয় লাগে? আপনি গ্যামোফোবিয়ায় আক্রান্ত
দাম্পত্য জীবনকে এই ৫ শত্রু থেকে দূরে রাখুন
ঘটতে পারে বিপদও
একটা সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে গভীর হওয়ার আগেই ইমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি গভীরভাবে ডুবে যেতে পারেন সেই সম্পর্কে। এমন অবস্থায় তিনি যাঁর প্রেমে পড়েছেন, তিনি যদি ব্যক্তি কিংবা সঙ্গী হিসেবে সৎ না হন, তাহলে তাঁর কাছ থেকে অন্যায় সুবিধাও নিতে পারেন। আবেগের সুযোগ নিয়ে তাঁর কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিতে পারেন। এমনকি শারীরিক সম্পর্কের জন্য তাঁকে বাধ্যও করতে পারেন। ‘প্রেমে অন্ধ’ থাকার কারণে ওই ব্যক্তির সব আবদার মেনে নিতে বাধ্য হতে পারেন ইমোফিলিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি। যদিও তিনি নিজেও জানেন না, তাঁর এই সম্পর্ক আদতে কত দিন টিকবে বা কত দিন তিনি নিজেই টিকিয়ে রাখতে চাইবেন।
সমাধানে চাই উদ্যোগ
আবেগ থেকেই সম্পর্কের সূত্রপাত। কিন্তু যেকোনো সম্পর্কের ব্যাপারে ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ আচরণ করাটাও একজন বিচক্ষণ ব্যক্তির দায়িত্ব। কাউকে ভালো লাগলেই যে তা প্রেম নয়, সে বোধ থাকতে হবে সবারই। আর প্রেমের অনুভূতি হচ্ছে মনে হলেও, সম্পর্ক শুরু করতে পর্যাপ্ত সময় নেওয়া প্রয়োজন। একজন মানুষের সঙ্গে নিজেকে জড়ানোর আগে তাঁকে জানতে হবে ভালোভাবে। এমনকি একটা সম্পর্ক ভেঙে গেলেও নতুন সম্পর্কে জড়ানোর আগে নিজেকে খানিকটা সময় দিতে হবে। আর সম্পর্কের বিষয়ে যদি নিজেকে একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
সূত্র: ভেরিওয়েল মাইন্ড
ছবি: Voices of Youth