একা একা সুখী হওয়া যায় না। সুখী হতে হয় সবাইকে নিয়ে!
- ফারজানা আক্তার
- মে ২৬, ২০২০
এক শিক্ষক একদিন তার স্কুলের সকল বাচ্চাদের জন্য অনেকগুলো বেলুন নিয়ে আসেন। তারপর বড় একটি মাঠে বাচ্চাদের আর সকল বেলুন নিয়ে যান। সব বাচ্চার হাতে একটি করে বেলুন ধরিয়ে দেন। তারপর সবাইকে বেলুনে নিজের নাম লিখতে বলেন।
বাচ্চারা নিজের নাম লিখে শিক্ষকের কাছে বেলুন ফেরত দিয়ে দেয়৷ সেই শিক্ষক তখন পুরো মাঠে সকল বেলুন এলোমেলো করে ছড়িয়ে দেন।
বেলুন এলোমেলোভাবে ছড়ানোর পর তিনি সব বাচ্চাদের বলেন নিজের নামের বেলুনটি খুঁজে বের করার জন্য। সকল বাচ্চারা তাদের নিজের নামের বেলুন খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো কিন্তু কেউ খুঁজে পেলো না।
বাচ্চারা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়লো তখন সেই শিক্ষক বললেন, ' তোমাদের কাছে যে নামের বেলুন আছে সেটি হাতে নিয়ে তার মালিকের কাছে পৌঁছে দাও। '
এবার খুব সহজে সবাই নিজের নামের বেলুনটি হাতে পেয়ে গেলো।
গল্পের মেসেজ কি ছিলো?
আমরা সবসময় নিজের জন্য সুখ খুঁজে বেড়াই। নিজের সুখের জন্য অন্যের ক্ষতি করতেও দ্বিধাবোধ করি না। অন্যের সুখ দেখলে উল্টা জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাই।
কিন্তু আমরা ভুলে যাই অন্যের জন্য সুখের ব্যবস্থা করে দিতে পারার মধ্যেই নিজের সুখ নিহিত।
আপনি যখন অন্য কারো সুখের কারন হবে নিজেকে আপনা আপনি সুখী মনে হবে। অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারলে নিজের মধ্যে ভালোলাগা কাজ করবে।
সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার মধ্যেই সুখ, একা একা ভালো থাকা যায় না এবং সুখীও হওয়া যায় না।
নোটঃ বাচ্চাদের গল্পটা একটা ইংরেজি আর্টিকেলে পেয়েছি। আমি ট্রান্সলেট করে লিখলাম।