বয়স ৪০ পার হলে মানুষ এই ১৪টি কথা বলতে চান না, বলেছেন গবেষণা!
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- মার্চ ৪, ২০২১
বিশেষজ্ঞদের মতে, চল্লিশে পা দিয়ে মানুষ জীবনের বিশেষ এক স্তরে পা রাখে। মধ্য বয়সে উপনীত হয়ে জীবনের বহু রহস্যের মুখোমুখি হয় মানুষ। এসময় এরপর জীবনের নানা চিন্তা ভাবনা ও অনুভূতি পরিপক্কতা লাভ করে। মানুষ হয়ে ওঠে ধীর-স্থির। জেনে নিন, এ বয়সের ১৪টি গোপন কথা যা চল্লিশোর্ধরা কখনোই বলতে চান না।
১. সমাজের সঙ্গে ভিন্ন আঙ্গিকে যুক্ত হন তারা। আগে হয়তো বহু কাজে মানুষের সঙ্গে একাট্টা হতেন। কিন্তু চল্লিশের পরে তালিকা অনেক কমে আসে। এখন যেখানে সেখানে যেতে মন চায়না।মন চাইলে যেকোনো কিছু করতে আর ভয় লাগে না।
২. কিছুটা শারীরিক প্রতিবন্ধকতা দেখা দিতে থাকবে। বহুক্ষণ বসে থাকলে হয়তো পা দুটো অবশ হয়ে আসবে। হাতের কব্জিতে অনুভূতি হতে পারে জড়তা।
আরো পড়ুনঃ ব্ল্যাকহেডস দূর করবে কলা ও ওটসের এই ফেসপ্যাক!
৩. আগের মত আর অসংখ্য বন্ধুর দরকার হয়না। তবে হাতেগোনা যারাই থাকেন, তারা হয় সত্যিকারের বন্ধু। গুটি কয়েক, কিন্তু আরো বেশি কাছেরবন্ধুরাই ৪০ এর সর্বোত্তম সঙ্গী হয়ে ওঠেন।
৪. ছুটি কাটাতে আগে যে কোন স্থানে যেতে মনটা আনচান করে উঠত। কিন্তু মানসিকতা ও রুচি বদলেছে। চল্লিশে পার দিয়ে এমন কোন স্থানে যেতে মন চায়না, যাকে না বাসস্থানের চেয়ে উন্নত নয়। এর চেয়ে বরং ঘরটা অনেক ভালো।
৫. শৈশব, কৈশোর এবং ত্রিশের কোঠায় অনেক বিষয়ের সূক্ষ্ম তারতম্য হয়তো স্পষ্ট ছিল না। কিন্তু ৪০শে এসে যাবতীয় বিষয়ের মধ্যে সূক্ষ্ম তারতম্য পরিষ্কার ঠেকে। আবার এখন মত প্রকাশে খুব সহজেই 'আমি বিষয়টা জানিনা' কিংবা 'জানতাম না এটা এতো সহজ' ইত্যাদি কথা বলা যায়।
৬. এ সময় অদ্ভুত কিছু প্রেম আসে জীবনে। অযৌক্তিক এবং অকারণে প্রেম পড়া সাধারণ ঘটনা।
আরো পড়ুনঃ সরিষার তেলের ফেসপ্যাকে মুখের বিভিন্ন দাগ এবং পিগমেন্ট দূর হয়!
৭. এ সময় সমাজের বিভিন্ন স্তরে ও প্রতিষ্ঠানের প্রধান ব্যক্তিত্ব নজরে পড়ে। মনে হয়, তারা কতোই না সুখী ও সফল। মনে হয়, সন্তানটা যদি এমনই কেউ হতে পারে তবেই যত সুখ।
৮. মৃত্যু এ বয়সে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনা। একে অবশ্যম্ভাবী বলে সহজে মেনে নেওয়া যায়। একে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করার মানসিকতা সৃষ্টি হয়।
৯. জীবনের প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না মূল্যবোধ তৈতি হয়। যার যাফ কাছে এ বিষয়গুলো গুরুত্ব পায় অথবা হারায়। কোন বিষয়টা কতটা জরুরি তা স্পষ্ট হয়।
১০. কম বয়সে চেহারা-পোশাকের প্রতি যে ভালোবাসা কাজ করতো, তা কিন্তু চল্লিশে পা দিয়ে নষ্ট হয়ে যায় না। তবে এ সময় ব্যক্তিত্বের প্রকাশ মূখ্য বিষয় হয়ে ওঠে। স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ওঠে মন। সেই সঙ্গে রুচিশীল পোশাক-পরিচ্ছদ পছন্দসই হয়ে ওঠে।
১১. ভুলগুলো মেনে নিতে চায় মন। নিজের ভুল সহজে স্পষ্ট হয়ে যায়। আর ভুলের কারণে দুঃখ প্রকাশ করার উপলব্ধি হয়।
১২. চল্লিশেও আবেগ যথেষ্ট কাঁদায়। কষ্টের গান ও সুরে এখনো মনটা ডুকরে উঠতে পারে। অন্যের কষ্টে সমবেদনা জানাতে চোখে পানি আসে।
আরো পড়ুনঃ কড়াই মাংস
১৩. ফ্যাশনেবল মানুষেরাও চল্লিশে পৌঁছে একে জটিল বলে গণ্য করেন। সাধারণ ও আরামদায়ক পোশাকই সেরা বলে মনে হয়। তবে বিশেষ উপলক্ষ্যে কিছুটা ফ্যাশন তো চলেই।
১৪. আগের মতো রাত জেগে উল্লাসে মেতে উঠতে চায় না মন। অ্যালকোহলে বুঁদ হয়ে থাকাও আর ভালো লাগেনা। তাই অনেকটা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন উপভোগ্য হয়ে ওঠে। সূত্রঃ টেলিগ্রাফ