আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান পেরুর মাচুপিচু
- ইয়াসিন প্রধান সাজিদ
- মে ৩, ২০২১
বিশ্বের আরো একটি আকর্ষনীয় দর্শনীয় স্থান এবং ঐতিহাসিক সভ্যতার নিদর্শন স্থান হলো পেরুর মাচুপিচু। গোটা বিশ্বের পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ইনকা সভ্যতার নিদর্শন মাচুপিচু। অপরুপ সৌন্দর্য্যে ও প্রকমতির ভালোবাসায় ভরপুর আমাদের এ পৃথিবী। আমাদের এ পৃথিবী যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধার ঠিক তেমনি মানব সৃষ্ট সৌন্দর্য্যও কম নেই এতে।
প্রাচীন মানুষদের তৈরি করা কত শত দর্শনীয় স্থানে পরিপূর্ণ আমাদের এই বসুন্ধরা। প্রত্যেকটি নিদর্শনেরই আলাদা আলাদা ক্ষমতা থাকে তার পর্যটকদের মুগ্ধ করার জন্য৷ এমনই এক প্রাচীন, মানবসৃষ্ট কিন্তু অসাধারণ সৌন্দর্য্যের লীলাভূমি হল পেরুর মাচু পিচু শহর। এই স্থানটিতেও আন্তর্জাতিক সকল পর্যটকদের উপস্থিতি দেখা যায় শুধুমাত্রই তার সৌন্দর্যের জন্য। শহরটির নামটি ই সকলের কাছে আকর্ষনীয়। এই নাম আর তার পরিবেশ সবকিছু মিলেমিশে একজন দর্শনার্থীর সকল তৃপ্তি মিটাতে সক্ষম হয়।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় খেতে মানা
স্পেনীয় উচ্চারণে শহরটির নাম মাচু পিচু হলেও অনেকেই এর নাম উচ্চাররণ করেন মাচু পিকচু হিসেবে, যার অর্থ “পুরানো চূড়া”। শহরটি অনেক পুরোনো এবং ঐতিহ্যবহুল। যার কারণে মানুষের এ শহরের প্রতি জানার আগ্রহ এবং কৌতুহুল বেশি। এমনকি কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কারেরও আগের শহর এই মাচু পিচু। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই শহরটির উচ্চতা প্রায় ২৪০০ মিটার বা, ৭,৮৭৫ ফিট।
মাচুপিচু পেরুর উরুবাম্বা নামক এক উপত্যকার ওপরে পর্বত চূড়ায় অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয় যে মাচু পিচু ইনকা শাসকদের রাজকীয় শহর অথবা, ইনকাদের খুবই পবিত্র এক শহর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আর শহরের ইতিহাস ঘাটতে গিয়েই মূলত এসব তথ্যাদি জানা যায়। শহরের মানুষদের মতে এ শহরের ঐতিহ্য এবং সমাজের রীতিনীতি নিয়েও অনেক ধরনের মতামত পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ বুঝবেন কীভাবে
পর্যটকরা শহরের এমন ইতিহাসের বাস্তব নিদর্শন সহ দেখতে মাচুপিচু ভ্রমণ করেন। বেশিরভাগ পুরাতত্ববিদ বিশ্বাস করেন যে, মাচু পিচুকে পাচাকুতিক নামক ইনকা রাজার শাসন আমলে গড়ে তোলা হয়েছিল। তবে তার সকল ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং আকর্ষনীয় ঐতিহাসিক স্থাপনার খ্যাতি ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়েছে যার কারণে পেরু এবং তার মাচুপিচুর নাম এখন সকলের মুখে চলে আসে কোনো সুন্দর এক ভ্রমণের কথা আসলেই।
তথ্যঃ গুগল