এই লকডাউনে বাচ্চাদের স্মার্টফোন আসক্তির কুফল ও প্রতিকার
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- মে ২৪, ২০২১
ক্রমান্বয়ে মাদকাসক্তির মতই শিশুরা আক্রান্ত হয়ে পড়ে স্মার্টফোন আসক্তিতে। এরই ধারাবাহিকতায় দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের মানসিক বৈকল্য। এমনকি চিকিৎসকরা এও জানাচ্ছেন যে, স্মার্টফোন আসক্তির কারণে শিশুর শুধুমাত্র মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, বরং তারা শারীরিকভাবেও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।
স্মার্টফোন আসক্তির কুফল:
১. স্মার্টফোন তথা ইন্টারনেট আসক্তি শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা দেয়। শিশুর ধৈর্য ও মনোযোগ কমিয়ে দেয়। ফলে শিশু ধীরে ধীরে অসহিঞ্চু, অসামাজিক ও উশৃংখল হয়ে পড়ে। তার সহজাত সামাজিক গুণাবলীর বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।
আরো পড়ুনঃ কড়াই মাংস
২. অনেক সময় ধরে ফোন ব্যবহারের কারণে শিশুরা পর্যাপ্ত ঘুম থেকে বঞ্চিত হয়। এতে তারা মনোযোগের ঘাটতিজনিত চঞ্চলতা বা অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিসঅর্ডার নামক জটিলতায় ভুগে।
৩. স্মার্টফোনের মাধ্যমে শিশুরা অপ্রাপ্ত বয়সে না বুঝে বিভিন্ন অনৈতিক ও আপত্তিকর বিষয় বস্তুর সম্মুখিন হন। সহজেই এই বিষয়গুলোর মুখোমুখি হওয়াতে তারা এগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করছে। এ কারণে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেটে আসক্ত শিশু ও তরুণদের মাঝে নৈতিকতার অভাব ও মূল্যবোধের অবক্ষয় অপেক্ষাকৃতভাবে প্রবল বলে গবেষকদের ধারণা।
৪. অতিরিক্ত সময় ধরে ফোনের পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে শিশুদের বিভিন্ন ধরনের চোখের সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুনঃ আপনি কি নীরব ঘাতক ডিপ্রেশনে ভুগছেন ?
৫. শিশুরা বেশিরভাগ সময়ে শুয়ে বা বসে ফোন ব্যবহার করে। আর স্মার্টফোন আসক্ত শিশুরাও ঘরের বাইরে খেলাধুলাতেও আগ্রহী হয় না। ফলে শৈশবকালীন অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির হার তাদের মাঝে খুব বেশি। গবেষণায় দেখা গেছে, পরবর্তীতে এসব শিশুর ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ এবং এ সম্পর্কিত বিভিন্ন জটিলতা যেমন: হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
প্রতিকারের উপায়:
১. শিশুকে পর্যাপ্ত সময় দিন।
২. শিশুকে খেলাধুলা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজে উৎসাহিত করুন।
৩. প্রয়োজন ছাড়া শিশুর কাছে ফোন না রাখার চেষ্টা করুন।
৪. আপনার শিশু কোন কোন ওয়েবসাইট পরিদর্শন করছে তা খেয়াল করুন।
৫. বিভিন্ন ফিল্টারিং সফ্টওয়্যার ব্যবহার করুন। ক্ষতিকর ও আপত্তিজনক ওয়েবসাইট ফায়ারওয়াল প্রটেকশন দিয়ে বন্ধ করুন।
আরো পড়ুনঃ মাথায় টাক পড়া থেকে বাঁচতে শ্যাম্পু করার সঠিক নিয়ম জানুন
৬. সন্তানকে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ চর্চায় উদ্বুদ্ধ করুন। এবং ইন্টারনেটের খারাপ দিক সম্পর্কে সচেতন করুন।