আপনার বাচ্চার সৃজনশীলতা জাগিয়ে তুলতে জেনে নিন ৪টি স্পেশাল টিপস
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- জুন ২৭, ২০২১
প্রতিযোগিতার বাজারে বাচ্চাকে প্রথম করার দৌড়ে বাবা-মায়েরা সব সময় নিজের ইচ্ছা বাচ্চার উপর চাপিয়ে দেন। সে কী করতে চায়, বড় হয়ে কী হতে চায়, তা না জেনে নিজের ইচ্ছেমতো বাচ্চাকে বড় করেন। এক্ষেত্রে কম বয়সে সব ঠিক থাকলেও পরে সমস্যায় পড়তে হয়।
বড় হয়ে বাচ্চারা দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই বাচ্চার সঠিক ভবিষ্যৎ গড়তে চাইলে তার ইচ্ছেকে গুরুত্ব দিন। সে যেদিকে যেতে চায়, সেদিকে চালনা করুন। এক্ষেত্রে কয়টি জিনিস মেনে চলতে পারেন, এতে সহজে বাচ্চার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েলি রোগ লিউকোরিয়ার (সাদাস্রাব ) কারণ ও প্রতিকার
১. শিশুকে সব ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে দিন। আজকাল বাবা-মায়েরা বাচ্চাকে সবকিছু থেকে সরিয়ে রাখে। সে পারবেনা, তার কষ্ট হবে, ভেবে মাত্রাতিরিক্ত যত্নে রাখে।
এটা করা একেবারেই উচিত নয়। এতে বাচ্চা বড় সমস্যায় পড়বে। সব রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে সে নিজেকে চিনতে শিখবে, জানতে শিখবে সে কী চায়।
২. পড়াশোনার বাইরে আঁকা, গান, নাচের মতো বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিতে যুক্ত করুন। খেলায় ভর্তি করুন। দেখুন বাচ্চা কিসে আনন্দ পাচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ নিজের চোখকে সাজিয়ে তুলুন স্মোকি সাজে
পড়া ছাড়া কোনটা মন দিয়ে করতে চাইছে। সবাইকে যে ডাক্তার হতে হবে এমন নয়। ক্রিয়েটিভিটির গুণেও সে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ পেতে পারে।
৩. তার প্রতিভা ও আগ্রহকে সব সময় উৎসাহ দেবেন। এতে সে আরো শিখবে। কখনোই বাচ্চার ভুল ধরিয়ে দিবেন না। সে যা ভুল করছে তা বুঝিয়ে বলুন।
কিন্তু বাইরের কারো সামনে ভুলটা বলে তার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করবেন না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস হওয়ার কারণসমূহ
৪. অনেক বাচ্চার মধ্যে প্রশ্ন করার একটা ঝোঁক দেখা যায়। অনেকেই বেশি জানতে চায়।
বাচ্চার মধ্যে এমন জিনিস দেখলে প্রশংসা করবেন। তার সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিন। তার জানার চেষ্টাকে গুরুত্ব দিন তবেই বাচ্চার সঠিক বুদ্ধি ও মানসিক বিকাশ ঘটবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের খুশকি দূর করুন এখনই