ঘুম পাচ্ছে না অথচ একটু পরপর হাই ওঠে, কারন এবং সমাধান
- কবিতা আক্তার
- সেপ্টেম্বর ৯, ২০২১
সারারাত ঘুমানোর পরেও সকালে অফিসে গিয়ে অথবা ক্লাসে গিয়ে ঠিক উঠতে থাকে হাই। কিছুতেই যেন এর হাত থেকে রেহাই মেলে না। না চাইতেও যেন হাই উঠতেই থাকে। সেই সময় হাই তোলার জন্য যথেষ্ট কথা শুনতে হয় আপনাকে। যখনই এই অবাঞ্চিত হাই আপনাকে উত্তপ্ত করে তোলে তখন মেনে চলুন কতগুলো টিপস-
১. নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ছাড়ুন: অনেক সময় শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলে হাই ওঠে। তার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিন এবং মুখ দিয়ে ছেড়ে দিন। দেখবেন আস্তে আস্তে হাই ওঠা কমে যাবে। এইভাবে আপনার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। এবং যখন নিঃশ্বাস নেবেন তখন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিন।
আরো পড়ুনঃ মাছ না খাওয়া বাচ্চাদের জন্য পুষ্টিকর কাচকি মাছের চপ
২. ঠান্ডা পানীয় খান: যখনই হাই উঠবে তখন ঠান্ডা পানি অথবা কোল্ড ড্রিংস খান। সোডা এবং কার্বনেটেড পানীয় হাই বন্ধ করতে সক্ষম। যখন ক্লাসে আসবেন তখন বোতলে করে ঠান্ডা পানি নিয়ে যাবেন।
৩. ঠান্ডা খাবার: ঠান্ডা খাবারও খুবই কার্যকরী। যেমন ফ্রিজ থেকে বের করা খাবার, ফল ইত্যাদি। এছাড়া আইসক্রিম খেতে পারেন। মিষ্টি জাতীয় খাবারও খুব ভালো। এটা আপনার শরীরের শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে ক্লান্তি দূর করতে সক্ষম হয়।
৪. কর্মসূচি এক রাখুন: একটি কর্মসূচি বানিয়ে নিতে পারেন। যার মাধ্যমে রোজ এক সময় খাওয়া, ঘুমানো ইত্যাদি কাজ গুলি করতে পারেন। তাহলে দেখবেন এ কর্মসূচিকে আপনার শরীর মানিয়ে নেবে তখন আর কোন ক্লান্তি, হাই কোন কিছুই ছুঁতে পারবে না আপনাকে। এছাড়া ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন তাতে শরীর ঠিক থাকবে।
৫. হাটুন: একভাবে বসে কাজ করার ফলে ক্লান্তি আসতে পারে। যার জেরে হাই ওঠে। তাই একভাবে অনেকক্ষণ কাজ না করে কাজের ফাঁকে কিছুটা হেঁটে নিন। দেখবেন এতে ক্লান্তি লাগবে না বরং কাজের স্পৃহা আসবে।
আরো পড়ুনঃ বাচ্চার খাদ্য তালিকায় আয়রন, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার
৬. যোগা: শুধু হাই তোলা বন্ধ করলেই তো আর হবে না তার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগা করা খুবই প্রয়োজন। আমাদের শরীরের বাড়তি টক্সিন এবং অতিরিক্ত ফ্যাট ক্লান্তির প্রধান কারণ। এর জন্য অন্ততপক্ষে দিনে ২০ মিনিট যোগা করা আবশ্যক।
তাছাড়া হেলদি খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খান। ক্লান্তিকে আপনার সাথী হতে না দিলে আর অবাঞ্চিত হাইয়ের সমস্যায় ভুগতে হবে না আপনাকে।