ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবেন
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ২৮, ২০২৩
প্রায় সব ঘরে ঘরেই এখন ডেঙ্গু রোগী। হাসপাতালগুলোও ডেঙ্গু রোগীতে পরিপূর্ণ। এ সময় ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে চিকিৎসার পাশাপাশি তরল খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
পর্যাপ্ত তরল খাবার খাওয়ার মাধ্যমেই এ রোগ থেকে সেরে ওঠা ও প্লাটিলেট কাউন্ট বাড়ানো সম্ভব। আর বিভিন্ন ধরনের তরল খাবারের মধ্যে ডাবের পানি অন্যতম।
ডাবের পানি পান করলে শরীর ঠান্ডা হয়। এছাড়া শরীর ডিটক্সিফাই করতে ও রক্তপাত বন্ধ করতে সাহায্য করে ডাবের পানি। এতে অনেক পুষ্টি উপাদান আছে যা, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে, হাম, ডায়রিয়া, আমাশয়, পেটের ব্যথার চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।
ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবন?
যখন ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বরের বহির্বিভাগে চিকিত্সা করা হয়, তখন রোগীদেরকে মৌখিকভাবে রিহাইড্রেট করা জরুরি। কারণ জ্বর শরীরে ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি করে। এ সময় প্রচুর পরিমাণে ওরাল স্যালাইন, ঠান্ডা পানি, তাজা ফলের রস পান করলে পানিশূন্যতা কাটে।
আরো পড়ুন: আক্কেল দাঁতের ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়
বিভিন্ন ফলের রসসহ নারকেলের পানি ডেঙ্গু রোগীদের জন্য একটি ভালো খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ এটি শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজ ও ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে। নারকেল পানি পান করা শরীরের তরল পুনরায় পূরণ করতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বর থেকে দ্রুত সেরে উঠতে, রোগী অন্যান্য রিহাইড্রেশন পানীয় ছাড়াও বেশি করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। কারণ ডাবের পানিতে ৯৫.৫ শতাংশ পর্যন্ত পানি, বাকি ৪ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট, ২.২-৩.৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ০.৫ মিলিগ্রাম আয়রন আছে।
আরও আছে ০.৪ শতাংশ অজৈব পদার্থ, ০.১ শতাংশ প্রোটিন, ০.১ শতাংশ লিপিড, ০.০২ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০১ শতাংশ ফসফরাস, অনেক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড (আরজিনিন, অ্যালানাইন, সিস্টিন ও সেরিন) ও ভিটামিন বি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ কীভাবে ডাবের পানি পান করবেন?
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনি নিয়মিত নারকেল পানি পান করতে পারেন ও প্রতিদিন ৩-৪ বার এক গ্লাস করে ডাবের পানি পান করতে পারেন। এ সময় জ্বরে ভুগলে ও পিপাসা পেলে সাধারণ পানি পরিবর্তে ডাবের পানি পান করা উচিত। তবে খেয়াল রাখবেন ডাবের পানিতে যেন অন্য কিছু যোগ করা না হয়। প্রতিবার তাজা ডাবের পানি পান করুন।
আরো পড়ুন: প্লাটিলেট বাড়াতে ডেঙ্গু রোগীরা যেসব খাবার খাবেন
যদিও ডাবের পানি পান করা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ কমাতে, তাপ কমাতে ও শরর ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করতে পারে। তবে যদি রোগের গুরুতর উপসর্গ থাকে তবে তা নির্ণয়ের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো রোগ নির্ণয় ও চিকিত্সা নিতে হবে।