স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় রুই মাছ, কতটুকু খাবেন বিস্তারিত জানুন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২
মাছে ভাতে বাঙালি। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বাঙালির পাতে মাছ থাকা চাইই চাই। আর রুই মাছ তো সবারই পছন্দের। তবে জানেন কী? শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রুই মাছ।
রুই মাছের পুষ্টিগুণ কী?
প্রতি ১০০ গ্রাম রুই মাছে ১৬.৪ গ্রাম আমিষ, ১.৪ গ্রাম চর্বি, ৬৮০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২২৩ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে।
আরো পড়ুনঃ আপনার চুলের খুশকি দূর করুন এখনই
এই মাছে ক্যালোরির পরিমাণ থাকে খুবই কম। যারা অতিরিক্ত ওজন নিয়ে চিন্তিত, তারা কিন্তু ডায়েটে এই মাছ খেতে পারেন। রুই মাছের তেলে থাকা ওমেগা থ্রি নামক অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রক্তের ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল এলডিএল ও ভিএলডিএল কমায় এবং উপকারী কোলেস্টেরল এইচডিএলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, ফলে হৃদযন্ত্রে চর্বি জমতে পারে না।
আমেরিকার স্কুল অব নিউট্রিশনের জার্নাল অনুযায়ী, এই মাছ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমাতেও সাহায্য করে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োলজিক্যাল ইনফরমেশনের তথ্যানুযায়ী, ওমেগা থ্রি রক্তের অণুচক্রিকাকে জমাট বাঁধতে দেয় না। ফলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধার কারণে স্ট্রোক হয় না৷ স্ট্রোক প্রতিরোধে রুই মাছের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রেও। পুষ্টিবিদদের মতে, ভালো মানের প্রোটিনের অন্যতম উৎস এই মাছ।
আরো পড়ুনঃ ডিভোর্স শব্দটা খারাপ নাকি ডিভোর্সি শব্দটা ?
যেসব পুষ্টিকর উপাদান থাকে এই মাছেঃ ভিটামিন এ, ডি, ই রয়েছে রুই মাছে। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রন ও খনিজে ভরপুর এই মাছ। পুষ্টিবিদদের মতে, রুই মাছে কোলিন নামের একটি পদার্থ থাকে৷ প্রয়োজনীয় এই পুষ্টি সম্প্রতি আবিষ্কার হয়েছে, এটি ডি এন এ সংশ্লেষে সাহায্য করে।
স্নায়ুতন্ত্র, ফ্যাটের বিপাক ক্রিয়া এবং পরিবহণে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে আবার অতিরিক্ত রুই মাছ খাওয়া যাবে না। ভারসাম্য রেখে খাওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাদের মতে, দৈনিক রুই মাছের একটা বড় টুকরাই যথেষ্ট একজন মানুষের জন্য।