সকালে নাস্তা করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ !
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ৩০, ২০১৭
শরীরকে সুস্থ রাখতে চাইলে দরকার সঠিক খাদ্যাভ্যাস। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো সকালের নাস্তা। সারাদিনের সব বেলার খাবারের মধ্যে সঠিক অনুপাতে সকালের নাস্তা খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
সারাদিন সুস্থভাবে চলাফেরা করতে আমাদের প্রয়োজন নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি। নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরির ওপর ভিত্তি করে সারাদিনের খাবারকে ছয় থেকে সাতটি ভাগে ভাগ করা হয়। সবার ওপরে সকালের নাস্তা। দীর্ঘ আট থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর দিন শুরু হয় সকালের নাস্তা দিয়ে। দিনের শুরুটা ভালোভাবে করতে চাইলে দিনটা আপনাকে ঠিকঠাক সকালের নাস্তা দিয়েই শুরু করতে হবে।
গবেষণায় দেখা গেছে, সময়মতো ভালোভাবে সকালের নাস্তা খেলে সারাদিনের পুষ্টির চাহিদা যথাযথভাবে বজায় থাকে। সকালে নাস্তা না করে যারা ঘর থেকে বের হন এবং ঘরে থেকেও যারা সকালের নাস্তা খান না, তারা সবাই কঠিন স্বাস্থ সমস্যার মুখোমুখী হচ্ছেন। এই কাজগুলো যারা করেন তাদের দিনের যেকোনো সময় প্রচন্ড ক্ষুধা লাগে। ফলে তখন অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। তাতে খাবারের ভারসাম্য ঠিক থাকে না এবং ফলাফল আসে অতিরিক্ত ওজন।
গবেষণায় এটাও প্রমাণিত হয়েছে যে, ওজন কমাতে সকালের নাস্তার অবদান অনেক বেশি । সকালের খাওয়া একটু বেশি করে খেলে , সঠিক সময়ে হজমের হার বাড়ে। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সকালের নাস্তা ঠিকমতো খেলে এসিডিটি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শুধু তাই নয়,গবেষণায় দেখা গেছে,যেসব শিশু সকালে ঠিকঠাক নাস্তা খেয়ে স্কুলে যায় তারা পড়ালেখায় অন্য শিশুদের থেকে বেশি মনোযোগী এবং উৎফুল্ল । তাই আপনার বাচ্চাকে স্কুলে যাওয়ার আগে অবশ্যই নাস্তা খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
সঠিকভাবে সকালে নাস্তা করলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, সকালের নাস্তা খেলে মন-মেজাজ ভালো থাকে, ফুরফুরে হয়। দিনের শুরুতে খালি পেটে কাজ করলে মানুষের মন-মেজাজ খারাপ থাকে। এতে অনেক সময়ই মানুষ তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, যা তার ব্যক্তিত্বেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
সকালের নাস্তা সকালেই খেতে হবে। দেরি করে নাস্তা খেলে তা কিন্তু আর সকালের নাস্তার পর্যায়ে পড়ে না। এ ক্ষেত্রে রুটি, সবজি, ডিম, রঙ চা, দুধ, ব্রেড, ফল, চিড়া, দই, সুজি ইত্যাদি খাবারকে রকমফের করে সুষম নাস্তা খাওয়া যেতে পারে। সকালের নাস্তা খাওয়ার ২০ মিনিট পর পানি এবং চা খাওয়া যেতে পারে। নিজেকে সুন্দর, সুস্থ রাখতে এবং জীবনকে উপভোগ্য করতে সব বয়সের মানুষের সঠিকভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণে সকালে নাস্তা খেতে হবে।
তথ্য এবং ছবি : গুগল