রসুনের উপকারিতাগুলো কী কী? রসুন খাওয়ার সঠিক নিয়মগুলো জেনে নিন।
- ওমেন্স কর্নার
- মার্চ ২১, ২০২৩
রসুন আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিনের রান্নায় কোনো না কোনো খাবারে রসুনের ব্যবহার থাকেই। কিন্তু রসুন শুধু রান্নার স্বাদই বাড়ায় না,পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবেও কাজ করে। এই রসুনে রয়েছে থিয়ামিন, রিবোফ্লাবিন, নায়াসিন,প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ফোলেট ও সেলেনিয়াম। সেলেনিয়াম ক্যানসার প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। চোখ ভাল রাখা থেকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ— নিয়মিত রসুন খেলে শরীরের বহু উপকার হয়।
খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চিন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যান্সারের চিকিৎসায়৷ লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাংগাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণের খবর জানান ৷ সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গেছে ৷ আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা। ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাটের স্কুল অফ মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের বিজ্ঞানীদের দাবি, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। রক্তচাপ বশে রাখতেও তার ভূমিকা আছে।
আরো পড়ুন: কাঁচামরিচ তাজা রাখতে যা করবেন
কাঁচা রসুনের উপকারিতা : একটি গবেষণাধর্মী সংস্থার জার্নাল অফ এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড ফুড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত প্রবন্ধে কাঁচা ও শুকনো রসুনের কার্যকরী ভূমিকা বিচার করেছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাগারে বড় হওয়া দুটি দলের ইঁদুরের মধ্যে এক দলকে বেশ কিছু দিন ধরে খাওয়ানো হয় টাটকা কাঁচা রসুন, আরেক দলকে শুকনো রসুন। এরপর তাদের মধ্যে হালকা হার্ট অ্যাটাক সৃষ্টি করিয়ে তাঁরা দেখেন কোন গ্রুপের ইঁদুর কীভাবে সামলাচ্ছে এর ধাক্কা।
হার্ট অ্যাটাকের ফলে অক্সিজেনের অভাবে হার্টের পেশির যে ক্ষতি হয়েছে, দু–দল ইঁদুরই তা সামলেছে প্রায় একই রকম দক্ষতায়। তবে যাঁরা কাঁচা রসুন খেয়েছিল, এই বিপর্যয়ের পরও তাদের হার্টের মূল ধমনি দিয়ে রক্ত সঞ্চালন বেশি ভালোভাবে হয়েছে ও হার্টের মধ্যে এমন কিছু পরিবর্তন ঘটেছিল যাতে চট করে রোগের ধকল সামলে উঠেছে তারা। হিউম্যান ট্রায়াল না হলেও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায়, কাঁচা রসুনের যত উপকার, রান্না করার পর সেই গুন ততটা রক্ষিত হয় না ।
রসুনের অসামান্য ভেষজ গুনের কথা ইতিহাসে পাওয়া যায়। ভেষজ গুণের জন্য কাঁচা রসুন বেশি উপকারী। অ্যালিসিন নামক সালফারযুক্ত জৈব যৌগ রসুন এর প্রধান সক্রিয় উপাদান । অ্যালিসিন রসুনের গন্ধ ও বিখ্যাত ভেষজ গুণ দুইয়ের প্রধান কারণ। অ্যালিসিন দেহে কোলেস্টেরল তৈরির উৎসেচক এইচএমজিকোএ রিডাক্টেজ কে বাধা দেয় বলে জানা গিয়েছে। রসুনকে কাটলে অ্যালিনেজ নামে একটি উৎসেচক অ্যালিইন থেকে অ্যালিসিন তৈরি করে।
আরো পড়ুন: রান্নাঘর সাজিয়ে রাখবেন যেসব উপায়ে
অ্যালিসিন খুবই স্বল্পস্থায়ী। রান্না করলে বা অ্যাসিডের প্রভাবে অ্যালিনেজও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তাই রসুন কাটা বা বাটার পর সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে না নিলে সে আস্তে আস্তে উবে যায়। কাঁচা রসুনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মাত্রাও বেশি থাকে। পুষ্টিবিদদের মতে,পূর্ণবয়স্কদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া কাঁচা রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, যার দরুণ রক্ত বাধাগ্রস্ত হয়ে যেসব রোগের সৃষ্টি করে, তা আর হতে পারে না। যৌবন ধরে রাখার ক্ষেত্রে তাই কাঁচা রসুন অতুলনীয়।
যৌন জীবনে রসুনের উপকারিতা : জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল যৌন জীবন। এই যৌনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বা যৌবন ধরে রাখতে রসুনের সেবন করা জরুরি। পুরুষের যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে। রসুনকে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয়। কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সবজি যা আমরা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহন করে থাকি। আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী। কোন রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করবে বলেই বিশ্বাস ।
পুরুষরা যদি কোনও ধরণের যৌন সমস্যায় পড়েন তবে রসুন সেবন করা উচিত। এটি যৌন দুর্বলতা দূর করবে। রসুনকে একটি উত্তেজক মশলা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি যৌন ইচ্ছা এবং স্ট্যামিনা বাড়ায়। আপনি যদি যৌন মিলনের সময় উত্তেজনা, শক্তির অভাব বোধ করে থাকেন তবে আপনার ডায়েটে নিয়মিত রসুন অন্তর্ভুক্ত করুন। রসুন খেলে যৌনাঙ্গে সঠিক রক্ত সঞ্চালন হয়। এটি প্রজনন অঙ্গগুলির স্বাস্থ্যও বজায় রাখে ।
আরো পড়ুন: বাচ্চার ওজন বাড়াবে চিড়া-বাদামের এই রেসিপি
এছাড়া যদি কোন ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশি হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এরকম ক্ষেত্রে ও রসুন বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে ।
রসুন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে বোঝা যায় রসুন যৌন সক্ষমতা তৈরিতে কত বেশি কার্যকরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রতি মিলিলিটার শুক্রাণুতে ২০ মিলিয়নের কম স্পার্ম থাকলে যেকোনো পুরুষ অনুর্বর হতে পারেন। বাজে খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান, অ্যালকোহল, অনিয়ন্ত্রিত জীবন, ব্যায়ামে অনীহা প্রভৃতি কারণে দিন দিন অনুর্বরতা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক মসলা রসুন। কেননা সুস্থ Semen (বীর্য) তৈরিতে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। Semen ঘন ও বেশি পরিমাণ উৎপাদনের জন্য নিয়মিত রসুন খাওয়া উচিত।
রসুন কখন কীভাবে খাবেন ?
- প্রতিদিন নিয়ম করে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে শরীরের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
- সকালে খালি পেটে ১-২ কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতে পারেন, এতে অবশ্য কিছুটা খেতে অস্বস্তি হলেও কাঁচা চিবিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
- যারা পড়ন্ত যৌবনে চলে গিয়েছেন, তারা প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খাঁটি গাওয়া ঘি-এ ভেজে মাখন মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে খাওয়ার শেষে - একটু গরম জল বা দুধ খাওয়া উচিত। এতে ভালো ফল পাবেন।
- যৌবন রক্ষার জন্য রসুন অন্যভাবেও খাওয়া যায়। কাঁচা আমলকির রস ২ বা ১ চামচ নিয়ে তার সঙ্গে এক বা দুই কোয়া রসুন বাটা খাওয়া যায়। এতে স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের যৌবন দীর্ঘস্থায়ী হয়।
আরো পড়ুন: ঘরেই বানান ম্যাজিক মসলা
ব্রণে রসুনের উপকারিতা : মূলত বয়ঃসন্ধিকালীন একটি সমস্যা। তবে বিভিন্ন বয়সে নারী ও পুরুষদের ব্রণের সমস্যা দেখা যেতে পারে। রসুনে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট,অ্যান্টিফাঙ্গাল ,এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমাটরি উপাদান। ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া দূর করে এসব উপাদান। এছাড়াও রসুনে থাকা ভিটামিন বি৬, সি, সিলিয়াম, কপার ও জিঙ্ক ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য কাঁচা রসুনের একটা কোয়া চিবিয়ে খেতে পারলে ভালো।
সর্তকতা: কিন্তু হাইপার-সেন্সিটিভ স্কিনের জন্য এটা খুবই ভয়ংকর সাইড-ইফেক্ট এর কারণ হতে পারে। রসুনে আছে অ্যালিসিন (Allicin) যা অসাবধানতার কারণেই ত্বকে সরাসরি লাগালে চামড়া পুড়ে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে। আসলে একেক জনের স্কিনের ভাব একেক রকম। কারো স্কিন খুব সহনশীল, কোনোরকম এক্সপেরিমেন্ট করলেও বিশেষ কিছু ক্ষতি হয় না । আবার কারো স্কিন আবার খুবই সেনসিটিভ। একটু উনিশ-বিশ হলেই ব্রণ উঠে এবং দাগ বসে যায়। খুব বেশি সেনসিটিভ স্কিনে তাই কোন এক্সপেরিমেন্ট না করাই ভালো। খুব বেশি সমস্যা দেখা দিলে স্কিন বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ নিতে হবে।
চুলের জন্য রসুনের উপকারিতা : শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি রসুন ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। রসুন যেমন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, তেমনই অতিরিক্ত চুল পড়াও নিয়ন্ত্রণ করে । বিশেষজ্ঞদের মতে চুলের যত্নেও রসুনে রয়েছে কার্যকরী গুণ। রসুনে থাকা জিঙ্ক এবং কপার মাথার তালুর রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে খুশকির সমস্যাও দূর করতে সহায়তা করে।
চুল পড়া প্রতিরোধে রসুন অনেকটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে। এটি শুধু চুল পড়াই প্রতিরোধ করে না; সেইসঙ্গে মাথার ত্বকের ইনফেকশন ও খুশকি দূর করতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে রসুন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। তাদের মতে, তেলের মতো করে চুলে ও মাথার ত্বকে রসুনের রস লাগালে অনেক দ্রুত নতুন চুল গজায়। রসুনের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ এলিসিন যা রক্তে হিমোগ্লোবিন সঞ্চালন বাড়িয়ে দিয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তবে সেনসিটিভ স্কিনের ক্ষেত্রে এটার ব্যবহার না করাই ভালো। সেক্ষেত্রে হেয়ার স্পেশালিস্ট কিংবা স্কিন স্পেশালিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন: মাত্র তিন উপকরণে বানিয়ে ফেলুন স্প্যানিশ অমলেট
রসুনের আচার : রসুন আয়ুর্বেদে রজনা নামে পরিচিত। রসুন পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। বিভিন্ন রকমের আচারের মধ্যে রসুনের আচার অন্যতম। রসুনের আচার শুধু স্বাদের জন্য নয়, স্বাস্থের জন্যেও বেশ উপকারি। রসুন আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক আ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। কাঁচা রসুন শরীরের জন্য বেশি উপকারী ,তবে অনেকেই কাঁচা রসুন খেতে পারেন না। এজন্য চাইলেই কিন্তু আপনারা আস্ত রসুনের আচার তৈরি করে খেতে পারেন। রসুন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।
রসুন খাওয়ার নিয়ম :
১. সকালে খালি পেটে রসুন কাঁচা খেতে পারেন যা সবচেয়ে বেশি উপকারী।
২. সেদ্ধ করেও রসুন খেতে পারেন। এটিও উপকারী।
৩.আপনি জলে ভিজিয়ে রেখে রসুনের জল খেতে পারেন এটিও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
৪.রসুনের ২-৩টি কোয়া কুচিয়ে নিন। তার সঙ্গে এক টেবিলচামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন এই মিশ্রণ খেলে শরীর ফিট ও এনার্জিতে ভরপুর থাকবে।
৫.সকালে খালি পেটে খেতে হবে এমন নয়। বিকেল-দুপুর বা রাতে খেতে পারেন। তবে খালি পেটে খেলে উপকার বেশি পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: রান্নাঘরের কাজ সহজ করবে যেসব টিপস
রসুন বেশি খেলে কী হয় ?
রসুন খাওয়ার যেমন অনেক উপকারিতা রয়েছে তেমনি অতিরিক্ত রসুন খেলে হতে পারে ক্ষতি। গবেষকরা বলেন, অতিরিক্ত রসুন খেলে তাতে থাকা ‘অ্যালিসিন’ উপাদান লিভারে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে। রসুনে সালফার থাকার কারণে পেটে গ্যাস তৈরি হয় এবং এটি থেকে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। বেশী পরিমাণে খেলে বমিভাব, বুক জ্বালাপোড়া ও পেটে ব্যাথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
সকালে খালি পেটে খেলে কী হয় ?
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন ঠান্ডা লাগার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে। রসুনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দুই কোয়া রসুন খেলে রক্ত সঞ্চালনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রসুনে থাকা সালফার রক্তনালিতে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন করে। এতে তাদের স্থিতিস্থাপকতা বেড়ে রক্তচাপ কমে। একইভাবে রক্তে উপস্থিত শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে রসুন।
রসুন কি রোজ খাওয়া উচিত ?
রসুনের মধ্যে রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শরীর ভাল রাখা ছাড়াও বিশেষ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে রসুনের জুড়ি মেলা ভার। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি প্যারাসাইটিক গুণাগুণ। সর্দিকাশি, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত রসুন খেলে তা অনেকটাই কমবে বলে আশা রাখা যায়।
আরো পড়ুন: ওজন কমাতে সাহায্য করে নারকেল
রসুন কতটুকু খেলে উপকার পাবেন ?
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে রসুন ভীষণ কার্যকরী উপাদান। শরীরে টক্সিন বের করতে এবং রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজ করে রসুন। প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়া রসুন খেতে পারেন যা উচ্চরক্তচাপ কমানো থেকে থেকে শুরু করে অনেক শারীরিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। কথায় বলে অতিরিক্ত কিছুই ভাল নয়। তাই প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোয়ার বেশি না খাওয়াই ভালো।
তথ্যসূত্র : preronajibon