বেঁচে যাওয়া খাবার না ফেলে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি জানুন।
- ওমেন্স কর্নার
- মে ২, ২০২৩
খাবার সব সময় টাটকা খাওয়া উচিত। তবে অনেক সময় খাবার উদ্বৃত্ত থাকে, সেক্ষেত্রে বেঁচে যাওয়া খাবার অপচয় না করে সেগুলো যথাযথভাবে প্যাকেটজাত ও সংরক্ষণ করতে হবে।
এতে করে পরবর্তী সময়েও আপনি উদ্বৃত্ত খাবার পুনরায় গ্রহণ করতে পারবেন। তবে খাবারগুলো অবশ্যই সঠিক উপায়ে সংরক্ষণ করতে হবে।
উদ্বৃত্ত খাবার গ্রহণে সতর্কতা:
>> সতেজ ও টাটকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। খাবারের অপচয় করা যাবে না। এমন পরিমাণে রান্না করতে হবে যাতে খাবার উদ্বৃত্ত না থাকে।
>> দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা রান্না করা খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
আরো পড়ুন: চা পাতায় ভেজাল আছে কি না কিভাবে বুঝবেন?
>> রান্না করা খাবার এক বা দু’দিন নিরাপদ তাপমাত্রায় সংরক্ষণপূর্বক পুনরায় যথাযথ তাপমাত্রায় গরম করে খেতে হবে।
>> উদ্বৃত্ত খাবারের সঙ্গে উদ্বৃত্ত খাবার মেশানো যাবে না।
>> স্যান্ডউইচ ও দুগ্ধজাত খাবার (যেমন- পনির, মাখন বা স্বর ইত্যাদি) সব সময় রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে। সেগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে, না হলে ফেলে দেওয়া ভালো।
>> খোলার পর ক্যানড বা টিনজাত খাবার যথাসম্ভব দ্রুত কিংবা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে গ্রহণ করতে হবে।
>> রেফ্রিজারেটরে রাখা খোলা ক্যান বা কন্টেইনারের খাবার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই গ্রহণ করুন।
আরো পড়ুন: মাটির পাত্রে পানি পানের উপকারিতা
উদ্বৃত্ত খাবার কীভাবে ব্যবহার করবেন?
>> রান্না করা ডালের অবশিষ্টাংশ দিয়ে সুস্বাদু রুটি বা পুরি তৈরি করতে পারেন।
>> রান্না করা সবজির অবশিষ্টাংশ দিয়ে প্যাটিস বানিয়ে ব্রেড স্যান্ডউইচ বা শিঙাড়া তৈরি করতে পারেন।
>> অবশিষ্ট ভাত পুনরায় রান্না করে ভাজা ভাত তৈরি করতে পারেন।
উদ্বৃত্ত খাবার কীভাবে ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন?
>> গরম খাবার ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করতে হবে।
>> রান্না করা খাবার সব সময় উপরের তাকে রাখুন।
আরো পড়ুন: তরমুজ খাওয়ার পর পানি পান করলে কোনো সমস্যা হবে?
>> খাবারের ধরন অনুযায়ী বাছাই করে সেগুলো সংরক্ষণ করুন।
>> তৈরির দুই ঘণ্টার মধ্যেই খাবার গ্রহণ করতে হবে।
>> উদ্বৃত্ত খাবার নিয়ে কোনো ধরনের সন্দেহ হলে তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
সূত্র: বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ