গরুর মাংস খেলে পাওয়া যায় এই উপকারগুলো!
- ওমেন্স কর্নার
- জুন ১৪, ২০২৪
আমরা অনেকেই মনে করি গরুর মাংস খেলে বুঝি কেবল ক্ষতিই হয়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই তথ্য সঠিক নয়। বরং গরুর মাংসে এমন সব উপকারী উপাদান একসাথে মেলে, যা অন্যান্য খাবারে সাধারণত একসঙ্গে পাওয়া যায় না। ডাক্তার তাসনিম জারা একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, গরুর মাংসে অতি উচ্চমানের প্রোটিন মেলে। এই প্রোটিন আমাদের চুল, ত্বক মাংস পেশী, হরমোনসহ অনেক কিছু গঠনে সাহায্য করে। মাংসে থাকা ভিটামিন বি১২ আমাদের মস্তিষ্ককে ভালো রাখে। এতে থাকা আয়রন আমাদের রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। রয়েছে জিঙ্ক, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
একই তথ্য জানালেন ফরাজি হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেডের পুষ্টিবিদ নাহিদা আহমেদ। তিনি জানান, গরুর মাংস প্রোটিন, ভিটামিন (বি১, বি৩, বি৬ ও বি১২), জিংক, সেলেনিয়াম, ফসফরাস ও আয়রনের দারুণ উৎস। এই পুষ্টি উপাদানগুলোর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। সাধারণত কোনও সুস্থ ব্যক্তি সপ্তাহে দুই দিন লাল মাংস খেলে তা তেমন কোনও জটিলতা তৈরি করে না। তবে ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি জটিলতাসহ অন্য রোগ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাংস খেতে হবে।
আরো পড়ুন:
মাটন শ্যাংক তৈরির রেসিপি
সরিষার তেলে ঝাল মাংস রান্নার রেসিপি
চুলায় গ্রিল চিকেন তৈরির রেসিপি
মুরগির আচারি রোস্ট রেসিপি
ইবনেসিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ডায়াটিশিয়ান ও নিউট্রিশন কনসালটেন্ট ফাতেমা সিদ্দিকী ছন্দা জানান ,প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর মাংস থেকে ২৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায় যা আমাদের দৈনিক চাহিদার প্রায় অর্ধেক পূরণ করে। গরুর মাংসে থাকা গ্লুটাথিওন হলো এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি নন কমিউনিকেবল ডিজিজ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আয়রনের দৈনিক চাহিদার ১৪ শতাংশ পূরণ করতে পারে গরুর মাংস। এতে রক্তশূন্যতার ঝুঁকি কমে।
তবে গরুর মাংস রান্না করতে হবে নিয়ম মেনে, খেতেও হবে পরিমিত। তবেই উপকারী এই মাংসের পুষ্টিগুণগুলো মিলবে ঠিকঠাক।