হাতে কাটা সেমাই পিঠার সহজ রেসিপি
- ওমেন্স কর্নার
- আগস্ট ১৩, ২০২৪
পিঠাপুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় আর সর্বজনীন পিঠা হচ্ছে হাতে কাটা সেমাই। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এটি চুই পিঠা, সেমাই পিঠা, চুষি পিঠা, ছেই পিঠা ইত্যাদি নামে পরিচিত।
চালের গুঁড়ার খামির লম্বা করে গড়ে নিয়ে পিঁড়িতে রেখে আঙুলে ডলে তৈরি করা হয় এই সেমাই। তবে অঞ্চলভেদে এর রন্ধনপ্রক্রিয়ায় বৈচিত্র্য দেখা যায় বেশ। প্রণালি যাই হোক, এতে আসলে জাদু মিশে যায় মায়াময় হাতের ছোঁয়ায়।
উপকরণ (৫ জনের জন্য):
- চালের গুঁড়া ২ কাপ
- তরল দুধ ২ লিটার
- খেজুরের গুড় আধা কাপ
- এলাচিগুঁড়া ১ চা-চামচ
- নারকেল কোরা ১ কাপ
- লবণ সামান্য
- পানি পরিমাণমতো
- সাজানোর জন্য
- কিশমিশ, নারকেল কোরা পরিমাণমতো
আরো পড়ুন:
ছিটা রুটি তৈরির সহজ রেসিপি
তিলের খাজা তৈরির রেসিপি
চিকেন পুলি তৈরির রেসিপি
মাংস পিঠা তৈরির রেসিপি
প্রস্তুত প্রণালী:
পরিমাণমতো পানি ফুটিয়ে চালের গুঁড়া দিয়ে মধ্যম আঁচে ভালোভাবে সেদ্ধ করে কাঁই তৈরি করে নিতে হবে। পানিতে এক চিমটি লবণ দেওয়া যায়। চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা করে বেশ ভালোভাবে পিঠার কাঁই মথে নিতে হবে। এরপর অল্প করে নিয়ে লেচি কেটে লম্বা করে গড়ে নিয়ে পিঁড়িতে রেখে সেমাই বানিয়ে নিতে হবে।
এভাবে সব সেমাই বানানো হলে চুলায় একটি ভারী তলাবিশিষ্ট পাত্রে দুধ জ্বাল দিতে হবে। দুধ ফুটে উঠলে এক কাপ দুধ উঠিয়ে রাখতে হবে। এই এক কাপ দুধ একটু ঠান্ডা করে তাতে গুড় গলিয়ে মিশিয়ে ছেঁকে রাখতে হবে।
তরল দুধে এলাচিগুঁড়া দিয়ে জ্বাল দিতে হবে। এ পর্যায়ে অল্প অল্প করে আগে থেকে তৈরি করে রাখা সেমাই মিশিয়ে নিতে হবে। সেমাই সেদ্ধ হয়ে পছন্দমতো ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে। তবে বেশি ঘন করে নামালে ঠান্ডা হওয়ার পর জমে আঠালো হয়ে যাবে এবং খেতে ভালো লাগবে না।
সেমাই কুসুম গরম থাকতে গুড়-দুধের মিশ্রণ মিশিয়ে নিতে হবে। এ পদ্ধতি অবলম্বন করলে গুড়ের প্রভাবে দুধ ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। ঐতিহ্যগতভাবে খাঁটি গুড় দেওয়া দুধেই সেমাই রান্না করা হয়। সেমাই ঠান্ডা হলে কিশমিশ ও নারকেল কোরা দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করা যায়।