‘ওয়াটার থেরাপি’ -তে আপনার ওজন কমিয়ে নিন খুব সহজে
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ২১, ২০১৭
ওজন কমাতে ডায়েটের দিকে যেমন আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। তেমনি খেয়াল রাখতে হবে পরিমিত পানি পান এবং ঘুমের দিকেও। আপনাকে দিনে আট থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে। পানি পান করার কিছু নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মকেই ওয়াটার থেরাপি বলা হয়।
ওয়াটার থেরাপি কী ?
এই থেরাপিতে আপনাকে কিছু সময় পর পর বিরতি দিয়ে একটা নির্দিষ্ট পরিমান পানি পান করতে হবে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এটিকে ‘হাইড্রোথেরাপি’ বলা হয়। এভাবে পানি পান করলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে এবং সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যও। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ করার আগে আপনাকে পানি পান করতে হবে। সর্বোচ্চ ফলাফল পেতে প্রতিদিন আপনাকে সঠিক পরিমানে পানি পান করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ নিজেই নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন গোলাপি আভা
ওয়াটার থেরাপিতে ঘুম থেকে উঠেই আপনাকে মোট ৪গ্লাস পানি পান করতে হবে। পরবর্তী ৪৫মিনিট আপনি কোনো খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। ৪৫মিনিট পর সকালের নাস্তা খেতে পারবেন।
নাস্তার আগে এতো পানি খেলে স্বাভাবিক আপনি নাস্তার সময় কম খাবেন। অন্য সময় আপনি যে পরিমান নাস্তা খেতেন তার থেকে পরিমান অনেক কমেই যাবে। প্রতি দু’ঘণ্টা বিরতি দিয়ে খাবার ও পানি গ্রহণ করবেন।
ওয়াটার থেরাপি শরীরের জন্য কতটা উপকারী?
ওজন কমানোর জন্য ওয়াটার থেরাপি সর্বাত্মক সাহায্য করে। এই মাধ্যমে আপনার শরীর যথাযথ পুষ্টি ও সতেজতা পায় এবং ক্ষুধাভাবও অনেকটা কমে যায়।
ওয়াটার থেরাপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে অনেকটা সাহায্য করে। আপনি সুস্থ ও দীর্ঘ একটি জীবন লাভ করবেন। আপনার হজমশক্তি বাড়বে এবং মনে রাখবেন একটি সুস্থ পাকস্থলী আপনার ক্ষুধা, পুষ্টি এবং রুচি ঠিক রাখতে সাহায্য করে। সাথে পাবেন একটি স্বাস্থোজ্জ্বল ও দ্বীপ্তিময় ত্বক।
আরো পড়ুনঃ ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকে নিয়ে আসুন এক্সট্রা গ্লো
পানি পান করে ডায়েট কন্ট্রোল করলে আপনার কোনো ক্ষতি হবে না। এটি সম্পূর্ণ নিরাপদ। তবে অতিরিক্ত পানি পানে আপনার ‘ওয়াটার ইনটক্সিকেশন’ সমস্যা দেখা দিতে পারে। আপনি আপনার শরীরের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পানি পান করবেন।