‘টেস্টিং সল্ট’ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, নাকি ক্ষতিকর?
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- জুলাই ১৪, ২০১৮
অনেক আগে থেকেই মনোসোডিয়াম গ্লুটামেটকে (এমএসজি) স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলা হয়। আমরা একে ‘টেস্টিং সল্ট’ নামে চিনি। বলা হয়ে থাকে টেস্টিং সল্ট সাধারণ লবণের তুলনায় ক্ষতিকর। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, টেস্টিং সল্ট সাধারণ লবণের তুলনায় ক্ষতিকর নয়, উল্টা তা ডায়েটের জন্য উপকারী। খবর আইএফএলসায়েন্স।
টেস্টিং সল্ট আসলেই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর—এমন কোনো শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায় নি। বরং ইতিহাসবিদরা দেখেন, বর্ণবৈষম্যের কারণেই জাপানে উদ্ভূত এই লবণকে খারাপ চোখে দেখে আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ানরা।
নেচার নিউরোসাইকোফার্মাকোলজি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা যায়, খাওয়ার আগে টেস্টিং সল্ট মেশানো স্যুপ পান করলে কম ক্যালোরি খাওয়া হয়। অন্যদিকে যারা টেস্টিং সল্ট ছাড়া একই ধরনের স্যুপ পান করেন, তাদের খাওয়া বেশি হয়ে যায়। তবে ঠিক কেন এ ঘটনা ঘটে তা জানা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড মেডিকাল সেন্টারের ড. মিগুয়েল আলোনসো-আলোনসো ১৮-৩০ বছর বয়সী ৩০ জন নারীর ওপর এই পরীক্ষা করেন। তাদেরকে বুফে খেতে দেওয়া হয়। এরপর তাদের প্রতিক্রিয়া বোঝার জন্য কম্পিউটারাইজড আই-ট্র্যাকিং এবং মস্তিষ্কের নিউরোইমেজিং ব্যবহার করা হয়।
ড. মিগুয়েল জানান, যারা টেস্টিং সল্ট দেওয়া স্যুপ খেয়েছিলেন তারা বুফে থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার বেছে নেন। বিশেষ করে তারা উচ্চমাত্রায় চর্বিযুক্ত খাবার কম খান। তারা নিজের খাবারই মন দিয়ে খান, অন্য খাবারের দিকে আকর্ষিত হন না। তাদের মস্তিষ্কেও সক্রিয়তা বেশি দেখা যায় সেই অংশে যা খাদ্য গ্রহণের সময়ে মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
গবেষকরা ধারণা করেন, পেটে টেস্টিং সল্ট চলে গেলে শরীর তা বুঝতে পারে এবং এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের দিকে পরিচালিত হয়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করলে যারা স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহী, তারা উপকৃত হতে পারেন। তবে মাত্র এক বেলার খাবারের ওপরে এই গবেষণা করা হয়। তাই কতক্ষণ পর্যন্ত টেস্টিং সল্টের এই প্রভাব বজায় থাকবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি।
তথ্য এবং ছবি : গুগল