ঘরের কাজের মাধ্যমেই গড়ে তুলন আকর্ষণীয় ফিগার
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ২১, ২০১৭
আগেরকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বুঝানো হতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষদের। যুগের সাথে সাথে মানুষদের চাওয়া – পাওয়া অনেকটাই বদলে গেছে। বর্তমানে সুস্বাস্থ্য মানে সুস্থ, ফিট, মেদহীন আর টান টান শরীরের কোনো মানুষ।
মেদহীন আকর্ষণীয় ফিগারের অধিকারী হতে হলে আপনার স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শরীর চর্চাও দরকার। শরীর চর্চা বা ব্যায়াম বললেই অনেকে মনে করেন ফিটনেস সেন্টারে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্র বা প্রশিক্ষকের সাহায্যে দৈহিক সৌন্দর্য বাড়ানোর কিছু নিয়মকানুন। তাতে অতিরিক্ত খরচ, সময় নিয়ে অনেকে চিন্তায় পড়ে যান।
আরো পড়ুনঃ মর্নিং সিকনেস কাদের বেশী হয় ?
জেনে নিন অতিরিক্ত খরচ এবং সময় বাঁচিয়ে কিভাবে গড়ে তুলবেন আকর্ষণীয় ফিগার। সাথে আরো জানুন কিভাবে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যায়।
ঘরের মেঝে মোছা :
ঘরের মেজে এবং সিঁড়ি মুছতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার পেটে প্রচণ্ড চাপ পড়বে। এতে আপনার পেটের মেদ সহজেই কমে যাবে ৷ নিয়মিত মেঝে মুছলে পেট মসৃণ হয় আর কোমরের আকারও হয় সুন্দর ৷ এদিকে আপনার বাড়ি – ঘরও কিন্ত পরিষ্কার হচ্ছে। এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো তো !
জানালা পরিষ্কার :
জানালা পরিষ্কার করতে গেলে আপনাকে হাত বারবার ওপরে-নীচে নামাতে হয়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গেরও নাড়াচাড়া হয় ৷ ফলে, মাংসপেশী শক্ত হয় ও শরীরের বাড়তি মেদ কমে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেকের হাতের মাংসপেশী খানিকটা ঝুলে পড়ে, যা এই ব্যায়ামের মাধ্যমে কমানো সম্ভব ৷
দাড়িয়ে ঘরের কাজ :
আপনি যখন বসে কাজ করবেন তখন আপনি কেবল একটি কাজই করতে পারবেন। দাঁড়িয়ে কাজ করলে আপনি একই সাথে রান্না, বাসন ধোয়া, কাটাকুটি এবং রান্নাঘরের অন্যান্য কাজও করতে পারবেন। এতে আপনার খানিকটা হাঁটাহাটি হবে। পায়ের কিছুটা ব্যায়াম হয় এবং হাড় শক্ত থাকে ৷ আবার অতিরিক্ত নড়াচড়ার ফলে শরীরের মেদও জমতে পারে না সহজে।
আরো পড়ুনঃ নারীদের পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS পাথরের লক্ষণ
কাপড় কাচা :
শরীরের সৌন্দর্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মোটা পেট বা ভুড়ি। শরীরের এই অংশটুকু খুব দ্রুত বাড়ে। এখন সবাই ওয়াশিং ম্যাশিং ব্যবহার করে কাপড় কাচার জন্য। আপনি যদি মেঝেতে বসে বা আধা বসা অবস্থায় কাপড় কাচেন তাহলে আপনার পেটে চাপ পড়বে। এতে নিজেকে নাধিন রাখা যাবে।
বাগান করা :
বাগান করা একটি শখ। এই কাজটি ভালোভাবে করতে যেমন তাজা শাক-সবজি, ফল আর সুন্দর ফুল ফোটাতে কিন্ত মোটামোটি বেশ পরিশ্রম করতে হয়। বাগানপ্রেমীদের প্রকৃতির সাথে নিবিড় একটা সম্পর্ক থাকে ৷ ফলে শরীর এবং মন দুইটাই ভালো থাকে।
ছোট থেকেই অভ্যাস গড়ে তোলা :
এশিয়া দেশগুলোতে গৃহিণীরা গৃহক্রমী দিয়ে ঘরের কাজ করাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন ৷ যারা ঘরের কাজ ছোটবেলা থেকেই নিজে করতে অভ্যস্ত হন, তাঁদের শরীরের গঠন ছোট থেকেই সুন্দর হয়ে থাকে ৷
কাজের পর বিশ্রামও চাই :
যে কাজই আপনি করেন না কেন, কাজের পর নিতে হবে বিশ্রাম। বিশ্রাম নেবার ফলে শরীর এবং মনে একই সাথে প্রশান্তি আসবে আপনার।
ঘরের কাজ করুন, সুন্দর থাকুন :
নিয়মিত যেকোন কাজ করলে আপনি তার ফল অবশ্যই পাবেন। স্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে একটু সচেতনতা আর পাশাপশি একটু হাঁটাহাটি বা বাড়ির কাজই এনে দিবে সুন্দর ফিগার।
আরো পড়ুনঃ আপনার পছন্দের যে খাবারগুলো ওজন বাড়ায় !