স্বাস্থ্যকর খাবার লাল আটা
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- নভেম্বর ১২, ২০১৮
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা রিফাইন করা ময়দার রুটি খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু গবেষণায় ওঠে এসেছে যে, রিফাইন করা ময়দা বিভিন্ন ধাপে আমাদের খাওয়ার উপযুক্ত হয় বলে এর স্বাস্থ্যকর গুণ অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। অপরপক্ষে লাল আটার রুটিতে ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে বলে তা আমাদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর।
আটা দুই ধরনের হয়। লাল ও সাদা। গমের খোসাসহ পিষা হলে আটার রং লাল হয়। আটার খোসা ছাড়া পিষা হলে সেই আটার রং হয় সাদা। ধবধবে সাদা হওয়ায় অনেকেই লাল আটার পরিবর্তে সাদা আটা পছন্দ করে থাকেন। কিন্তু রিফাইন করতে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় বিধায় এর স্বাস্থ্যগুণ কমে যায়। অন্যদিকে গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। লাল আটায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং ফ্যাট ও ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় পুষ্টিবিদগণ সাদা আটার তুলনায় লাল আটা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। লাল আটা ক্ষুধা নিবারণ করে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। লিগনিন নামক উপাদান সমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। লাল আটার ফাইবার রক্তে ক্ষতিকর ফ্যাট কমায় ও উপকারী ফ্যাট বাড়ায়। লাল আটায় রয়েছে থায়ামিন যা স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষা করে। ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।