গর্ভাবস্থায় মর্নিং সিকনেস হওয়ার কারণসমূহ
- ওমেন্সকর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ২৩, ২০১৭
গর্ভধারণের সময় মর্নিং সিকনেস হওয়ার কারণ কারো জানা নেই। গর্ভধারণের পর শরীরে যে ব্যাপক পরিবর্তন আসে তার জন্য মর্নিং সিকনেস অনেকাংশে দ্বায়ী। কিছু সম্ভাব্য কারণ দেয়া হলো :
হিউম্যান ক্রনিক গনাডোট্রোফিন :
হিউম্যান ক্রনিক গনাডোট্রোফিন হচ্ছে হরমোন। গর্ভাবস্থার শুরুর দিকে এটি খুব দ্রুত বাড়তে থাকে। এই হরমোন কিভাবে মর্নিং সিকনেস বাড়ায় তার সঠিক কারণ জানা যায় নি। যেহেতু মর্নিং সিকনেস এই সময়ে হয়ে থাকে এবং এই সময় হরমোনটি বাড়ে তাই ধারণা করা হয় হরমোনটি মর্নিং সিকনেসের কারণ। অন্য আরো কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে এই হরমোনটি বৃদ্ধি পায় , যেমন : যমজ সন্তানের গর্ভধারণ। এই কারণটিও মর্নিং সিকনেস বেশী হওয়ার সাথে সম্পর্কিত।
এস্ট্রোজেন :
অন্য হরমোনের সাথে এস্ট্রোজেন হরমোনের বৃদ্ধি মর্নিং সিকনেসের আরেকটি কারণ। এই হরমোনটিও গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে দ্রুত বাড়তে থাকে।
গন্ধপ্রবনতা :
এস্ট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে গর্ভকালীন সময়ে নারীদের গন্ধপ্রবন হয়ে উঠতে দেখা যায়। গর্ভবতী নারীরা যেকোনো খাবারে অন্যরকম ঘ্রাণ পায় বলে খেতে সমস্যা হয়, বমি পায়।
পাকস্থলীর সংবেদনশীলতা :
কিছু নারীর পরিপাকতন্ত্র প্রাথমিক গর্ভাবস্থায় বেশি সংবেদনশীল থাকে। কিছু গবেষণায় দেখা যায় যেসব মহিলার পাকস্থলীতে হেলিকবেক্টও পাইলবি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকে তারাই বেশীরভাগ অরুচি ও বমিবমিভাবে আক্রান্ত হন। যদিও সব গবেষণায় এটি প্রমান করা যায় নি।
মানসিক চাপ :
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কিছু গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় মানসিক অবসাদে ভুগেন। এই থেকেই অরুচি এবং বমিভাবে ভোগেন। এই তত্ত্ব সমর্থনের জন্য কোন প্রমান নেই। আপনি যখন অনেক বেশি বমিভাবে আক্রান্ত হবেন তখন এমনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে যাবেন।