ত্রিশের পর যাঁরা মা হতে চান, লেখাটি তাদের জন্য
- কামরুন নাহার স্মৃতি
- জুন ২৫, ২০২০
বর্তমান সময়ে লেখাপড়া শেষে কর্মস্থলে একটু স্থিতিশীল হয়ে, স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে দেখতে মেয়েদের বয়স ৩০ পার হয়ে যায় অনেকসময়।
৩৫ বছরের পর বাচ্চা নিতে চাইলে কী ধরনের ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে, সে বিষয়গুলো মাথায় রেখে পরিকল্পনা করা ভালো।
প্রথমত, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্তান ধারণক্ষমতা ধীরেধীরে কমতে থাকে।
দ্বিতীয়ত, ৩৫ এর পর কিছু সমস্য,যেমন- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, প্রসব পূর্ব রক্তক্ষরণ, বাচ্চা নষ্ট হওয়ার অধিকতর ঝুঁকি ও প্রসবকালীন জটিলতা বেড়ে যায়। এসবের সঙ্গে আরেকটি সমস্যা যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তা হলো জন্মগত ত্রুটিযুক্ত সন্তানের জন্মদান।
আরো পড়ুন : মেনোরেজিয়া
তৃতীয়ত, বিভিন্ন জটিলতার পরিণতিতে অপরিপক্ব শিশুর জন্মহার যেমন বেড়ে যায়, সে সঙ্গে স্বাভাবিক প্রসবের পরিবর্তে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুর জন্মহারও বেড়ে যায় অনেকগুণ।
চতুর্থত, প্রথম সন্তান ত্রিশোর্ধ্ব বা পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে হলে দ্বিতীয় সন্তান নেওয়ার আগে যে দুই বা তিন বছর বিরতি দিতে হয়, সে সুযোগটাও থাকে না, যা মায়ের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক জরুরী।
আরো পড়ুন : পিরিয়ড সম্পর্কিত কিছু কথা
এজন্য শত ব্যস্ততা, ক্যারিয়ার ভাবনা, মানসিক প্রস্তুতি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা এসব ভাবনা থাকার পরও মেয়েদের বয়স ৩০ পার হওয়ার আগেই অন্তত প্রথম সন্তান ধারণ করা নিরাপদ মা ও সন্তান উভয়ের জন্যেই, তবে কোনভাবেই বিশের আগে নয়।
পঁয়ত্রিশের পর মা হতে চাইলে প্রস্তুতি হিসেবে উচিত হবে আগেই কোনো প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে গর্ভধারণ করা, যাতে পরবর্তী সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়, কখন কী করতে হবে এ ব্যাপারে এবং অহেতুক দুশ্চিন্তা না করতে হয়।