মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৪, ২০২১
মটরশুঁটি আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় শীতকালীন সবজি। এটি এতো জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ হলো এটি যেকোনো অবস্থায় খাওয়া যায়। যেমন কাঁচা অবস্থায় খেতে পারবেন, আবার শুকিয়ে বীজ ডাল হিসেবে কিংবা ভেজে খাওয়া যায়।
এটি একটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজি। মটরশুঁটি উদ্ভিজ্জ আমিষের একটি উৎকৃষ্ট উৎস। জেনে নেওয়া যাক মটরশুঁটি চাষ পদ্ধতি সমূহ...
মটরশুঁটির জাতসমূহ: বাংলাদেশ মটরশুঁটির বেশকিছু জাত রয়েছে এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত হচ্ছে আরকেল, আলাস্কা, গ্রীনফিস্ট, স্নোফ্লেক, বনভীল, সুগার স্ন্যপ নামের জাতগুলোর আবাদ হচ্ছে।
আরো পড়ুনঃ মশা তাড়ানোর সহজ ঘরোয়া উপায়
এছাড়াও বারি মটরশুঁটি-১, বারি মটরশুঁটি-২, বারি মটরশুঁটি-৩, ইসপা মটরশুঁটি-১, ইসপা মটরশুঁটি-২, ইসপা মটরশুঁটি-৩, আলাস্কা ইত্যাদি জাতসমূহ বেশ জনপ্রিয়।
বীজ বপন: মটরশুঁটি এর বীজ বপনের পূর্বে বীজ বালাইনাশক দ্বারা শোধন করে নেওয়া উচিত। মটরশুঁটির বীজ সারি করে বপন করা উচিত। জমিতে ৪০সেন্টি মিটার দূরত্বে সারি করে ২০সেন্টিমিটার পরপর বীজ রোপণ করতে হবে।
মটরশুঁটির চাষে জোড়া সারি পদ্ধতিতে চাষ করা ভালো। যদি জলাবদ্ধতার আশঙ্কা থাকে তবে উঁচু স্থানে সারিগুলো তৈরি করতে হবে। জাত ও বপন পদ্ধতি অনুসারে হেক্টর প্রতি ৬০-৭০ কেজি বীজের প্রয়োজন হবে।
আরো পড়ুনঃ অকালে চুল পাকা রোধের ৫ ঘরোয়া উপায়
মাটি ও জলবায়ু: মটরশুঁটি চাষের জন্য দোআঁশ মাটি সর্বোত্তম। এঁটেল মাটিতে চারা রোগে মারা যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তবে খেয়াল রাখবেন মাটি অবশ্যই সুনিষ্কাশিত হতে হবে। মটরশুঁটির শীতপ্রধান আংশিক আর্দ্র জলবায়ু উপযোগী ফসল। মটরশুঁটি চাষ এর সবচেয়ে উপযোগী তাপমাত্রা হল ১০থেকে ১৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেট।
যথাযথ পরিচর্যা: মটরশুঁটি চাষের জন্য প্রতি শতাংশ জমিতে ৪০ কেজি গোবর সার, ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৬০০গ্রাম টিএসপি সার প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া ও টিএসপি অর্ধেক জমি চাষের সময় ও বাকি অর্ধেক দুই কিস্তিতে পরে দিতে হবে। শেষ চাষে সার প্রয়োগের অন্তত ৭-১০ দিন পরে মটরশুঁটির বীজ বপন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ গবেষণা বলছে, সম্পর্কে ঝগড়া বেশি মানে প্রেম বেশি