বাঁধাকপির চারা উৎপাদন পদ্ধতি, জমি তৈরি, চারা রোপণ এবং সেচ ব্যবস্থা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৫, ২০২১
বাঁধাকপি বা পাতাকপি শীতকাল সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি একটি পাতা জাতীয় সবজি।
চারা উৎপাদন পদ্ধতি: বাঁধাকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার ১মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈব সার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হয়।
দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের আগে ৭/৮ দিন পূর্বে প্রতি বীজতলায় ১০০গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। পরে চারা ঠিকমতো না বাড়লে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দিতে হবে।
জমি তৈরি: গভীরভাবে ৪-৫টি চাষ দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে তৈরি করে নিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন? জেনে নিন এসময়ের খাদ্যাভ্যাস
চারা রোপণ: বীজ রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর বা ৫/৬টি পাতা বিশিষ্ট ১০-১৫ সেন্টিমিটার লম্বা চারা সাধারণত বিকেল বেলা জমিতে রোপণ করতে হয়। তবে সুস্থ ও সবল হলে চারা এক-দেড় মাস বয়সের চারা রোপন করা যায়। রোপনের জন্য সারি থেকে সারির দুরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার এবং প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দুরত্ব ৪৫ সেন্টিমিটার দেওয়া ভালো।
এ হিসেবে প্রতি শতকে ১৫০টির মতো চারার প্রয়োজন হবে। আঙ্গিনায় ৫ মিটাত লম্বা একটা বেডের জন্য জন্য ২০-২২টি চারার প্রয়োজন হয়ে থাকে। বেডে দুই সারিতে চারাগুলো লাগাতে হবে। আঙ্গিনায় লাগানোর জন্য যেহেতু কম চারার দরকার হয় সেজন্য কোন বিশ্বস্ত নার্সারি থেকে চাতা কিনে লাগানো ভাকো।
তবে বাঁধাকপির চারা তৈরি করে অল্পদিনের মধ্যেই তা বিক্রি করে যেমন অধিক লাভবান হওয়া যায় তেমনি নিজের প্রয়োজনও মেটানো যায়। ফলে মিশ্চিতভাবে ভাকো চারা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ৩ ভাবে ডিম খেলে ওজন কমবে
সার প্রয়োগ ও সেচ ব্যবস্থা: প্রতি শতকে গোবর ১২৫ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ৮০০ গ্রাম, এমওপি ৬৫০ গ্রাম সার দিতে হবে। সম্পূর্ণ গোবর ও টিএসপি সার জমি তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে।
ইউরিয়া ও এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা রোপনের ২০-২৫ দিন পর একবার এবং ৩০-৪০ দিন পর আর একবার উপরি প্রয়োগ করতে হবে। সার দেওয়ার পর পরই সেচ দিতে হবে।
এছাড়া ২-৩ দিন পর পরই সেচ দিতে হবে। গাছ বড় হবার সাথে সাথে দুই সারির মাঝখান থেকে মাটি তুলে সারি বরাবর আইলের মতো করে দিতে হবে৷ ফলে দু'সারির মাঝে নালা তৈরি হবে। এতে সেচ দিতে বেশ সুবিধা হবে।
আরো পড়ুনঃ শিশুর ঘামাচি প্রতিরোধে করণীয়