ফুলকপির পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন ব্যবস্থাপনা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৬, ২০২১
ফুলকপি শীতের প্রধান জনপ্রিয় সবজি। তরকারি বা কারি ও স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গৃষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে।
১. ফুলকপির লেদা পোকা: পোকা গাছের কচি পাতা, ডগা ও পাতা খেয়ে নষ্ট করে।
প্রতিকার: পোকার ডিম ও লেদা হাত দারা বাছাই করা। ফুলকপি চাষের জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। পোকার আক্রমণ বেশি হলে অনিমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা।
আরো পড়ুনঃ শিশুর সিস্টিক হাইগ্রোমা
যেমন- সাইপারমেথ্রিন ( রিপকট/কট/রেলোথ্রিন ) ১ মিলি/ লিটার পানি অথবা ক্যারাট ১ মিলি/ লিটার পানিতে দিয়ে স্প্রে করতে হবে।
ফুলকপির কাটুই পোকা: কাটুই পোকার কীড়া চারা গাছের গোড়া কেটে দেয়।
প্রতিকার: জমিতে সন্ধ্যার পর বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে অর্থাৎ ( ১ কেজি চালের গুড়া বা গমের ভুসি সাথে ২০ গ্রাম সেভিং নামক কীটনাশক পানি বা চিটাগুড় এর সাথে ব্যবহার )। জমিতে চাষের সময় দানাদার কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
যেমন- ডায়াজিনন ১৩ কেজি/ হেক্টর অথবা কর্বোফুরান ১০ কেজি/হেক্টর দিতে হবে। এছাড়াও ক্লোরোপাইরিফস ( ডার্সবান/ লর্সবান ) ২ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
২. ফুলকপির জাব পোকা: জাবপোকা গাছের পাতা ও কচি ডগা রস শুষে খায়।
প্রতিকার: ফুলকপি চাষের জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। জৈব বালাইনাশক ব্যবহার।
আরো পড়ুনঃ মাসিকের সময় যৌন সম্পর্ক কি আসলেই ক্ষতিকর!
যেমন- নিম পাতার রস, আতা গাছের পাতার রস, সাবানের গুড়া পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যায়। আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক দিতে হবে। যেমন- ইমিডোক্লোপ্রিড ( কিগো/ইতিকাফ ) ০.৫ মিলি/লিটার পানি অথবা সাবিক্রিন ১মিলি/লিটার পানিতে দিয়ে স্প্রে করতে হবে।