ফুলকপির পুষ্টিগুণ এবং নানাবিধ উপকারিতা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৬, ২০২১
ভাজি, ভর্তা, ঝোল করে তো খাওয়াই যায় পাশাপাশি নুডলস, পাস্তা, সালাদ, পাকোড়ায়ও ব্যবহার করা যায় এটি। বিশেষ করে শিশুদের পছন্দের সবজি এই ফুলকপি। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ভরপুর এই সবজি। এই সবজি সম্পর্কে চলুন জেনে নিই।
আরো পড়ুনঃ কমে যাচ্ছে স্মরণশক্তি? অবহেলা নয়।
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। সালফোরাফেন ডিএনএ-এর মিথাইলেশন এর সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জীনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরে প্রাচীরের। সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। এই সবজিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে।
প্রেগনেন্সির সময় ফুলকপি খেলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। জ্ঞান, শিক্ষা এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন। সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন হওয়া জরুরী। তবে দহনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সে ক্ষেত্রে ক্যান্সার বা এ ধরনের রোগের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ নবজাতকের জন্য শালদুধের গুরুত্ব!
ফুলকপিতে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস যা শরীরের দহন প্রক্রিয়া কে নিয়ন্ত্রণ রাখে। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপির ফাইবার খাবার হজম হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।