ফুলকপির পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি জনিত সমস্যা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৬, ২০২১
মাটিতে গৌণ পুষ্টি উপাদান বোরন এবং মলিবডেনামের ঘাটতি থাকলে ফুলকপির গাছ সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বোরনের অভাবে পুষ্পমঞ্জরি গঠন ভালো হয়না। ফুলকপির রং বাদামী বর্ণের হয়, পুষ্পমঞ্জরি এর ভেতরটা ফাঁপা হয় এবং ফুলকপি পচে যায়। অম্ল ও বেলে ধরনের মাটিতে এ রোগ বেশি দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ অবহেলা নয় ফোড়ার চিকিৎসায়
এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য তিন গ্রাম বোরাক্স ( সোহাগা ) প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বীজতলার চারা গাছে একবার, চারা লাগানোর এক সপ্তাহ পর একবার এবং ৬/৭ সপ্তাহ পর আরেকবার গাছ ভালোভাবে স্প্রে করে দিতে হবে।
মলিবডেনাম এর অভাবে ফুলকপির পাতা সরু হয়ে যায় ও বেঁকে যায়। কখনো কখনো পাতা কুঁকড়ে যায়। পুষ্পমঞ্জরির চেহারা অস্বাভাবিক হয় ও পুষ্পমঞ্জরির মধ্যে ছোট ছোট পাতা দেখা যায়। এছাড়াও কচি চারার পাতার কিনারা হলুদ বা সাদা হয়ে যায়। বয়স্ক গাছের নতুন পাতার ফলক ঠিকমতো গঠিত হয় না।
ঘাটতি বেশি হলে গাছের বৃদ্ধি কেন্দ্র ভেঙ্গে পড়ে। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য সোডিয়াম মলিবডেট আধা গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে বোরাক্স এর সঙ্গে স্প্রে করা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ শরীরে পানি কেন জমে? জমলে কী করবেন?
বর্তমানে বাজারে অনুখাদ্যের মিশ্রন পাওয়া যায়। এই মিশ্রণ ১৫ দিন অন্তর অন্তর স্প্রে করা যেতে পারে। যেমন, ট্রাসেল-৩ অথবা এগ্রোমিন প্রতি লিটার পানিতে পাঁচগ্রাম করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। এছাড়া বাজারে ভকসল সুপার নামের যে অণুখাদ্য পাওয়া যায়। তা প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মিলি. হারে মিশিয়ে ফুল আসার আগে ১-২ বার এবং ফুল আসার পর ৩-৫ বার ১৫ দিন পর পর স্প্রে করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।