ফুলকপি পরিচিতি, পুষ্টি, জমি ও মাটি, চারা তৈরি ও বিশেষ পরিচর্যা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- জুলাই ২৬, ২০২১
ফুলকপি শীতের এক প্রধান জনপ্রিয় সবজি। তরকারি বা কারি স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে।
পুষ্টিঃ শিশুদের পছন্দের সবজি এই ফুলকপি। ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদানের ভরপুর এই সবজি।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি!
উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ ফুলপি চাষের জন্য সুনিষ্কাশন্যুক্ত উর্বর, দোআশ, এঁটেল মাটি সবচেয়ে ভালো।
জাত পরিচিতিঃ এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যায়। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে।
চারা তৈরিঃ ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হবে। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপনের আগে ৭/৮ দিন পূর্বে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালো ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের সমস্যা সমাধানে চন্দন ও দুধের প্যাক
বিশেষ পরিচর্যাঃ ফুলকপি গাছের সারি মাঝে সার দেওয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেয়া যায়, এতে সেচের সুবিধা হয়। তবে ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হবে। সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলের রং তথা ফুলকপির রং হলুদাভ হয়ে যাবে।