করলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ২, ২০২১
করলা এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি এলার্জি প্রতিরোধে এর রস দারুণ উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি উত্তম। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এতে যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ছাড়াও রয়েছে বহু গুণ। এবার জেনে নিন করলার আরও পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা...
আরো পড়ুনঃ ঋতু পরিবর্তনের সময় জ্বর হলে যেসব খাবার খাবেন
ব্রকলি থেকেও দ্বিগুণ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এতে। তিতা করলার রস পানে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের কোষ ধ্বংস হয় বলে সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার রস সহায়তা করে। করলায় থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতেও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী।
ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্য একান্ত জরুরী। চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া করলার রস কৃমিনাশক। ভিটামিন সি আমাদের দেহে প্রোটিন ও আয়রন যোগায় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে। ফাইবার সমৃদ্ধ করলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমায়। করোনায় রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ফলিক এসিড, জিংক, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম। অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে। ডায়াবেটিসের পেশেন্টের ডায়েটে করলা রাখুন।
করলা পাতার রসের উপকারিতা: করলা পাতার রস খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। নানা ধরনের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়। এনার্জি ও স্ট্যামিনা বাড়িয়ে তুলতে করলা পাতার রস সাহায্য করে। অতিরিক্ত এলকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকে লিভার ড্যামেজ হলে সে সমস্যায় করলা পাতার রস দারুন কাজ দেয়।
আরো পড়ুনঃ পাঁচটি কঠিন সমস্যা দূর করবে কাঁচা পেঁপে
ব্লাড ডিসঅর্ডার সমস্যায় লেবুর রস ও করলা পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। করলা পাতার রসে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস, ফেরেঞ্জাইটিস এর মতো সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সোরিয়াসিসের সমস্যা, ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করা সম্ভব।