করলার জাত, বীজের হার, জমি তৈরি ও বপন, ফলন সম্পর্কে বিস্তারিত
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ২, ২০২১
করলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সবজি। সাধু তিক্ত হলেও বাংলাদেশের সকলের নিকট অধিক প্রিয় সবজি হিসেবে পরিচিত। ১০০গ্রাম ভক্ষণযোগ্য করলায় ১৫-২.০ ভাগ আমিষ, ২০-২৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৮-২.০ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৮৮.৯৬ মিলিগ্রাম খাদ্যপ্রাণ সি আছে উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় করলা ভালো জন্মে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে পরাগায়ন বিঘ্নিত হতে পারে। সব রকম মাটিতে করলার চাষ করা যেতে পারে। জৈব সার সমৃদ্ধ দোআঁশ, বেলে দো-আঁশ মাটিতে ভালো জন্মায়।
জাত: বারি করলা-১: জাতটিতে গাঢ় সবুজ রঙের ২৫-৩০টি ফল ধরে (গাছ প্রতি) প্রতি ফলের গড় ওজন ১০০গ্রাম , লম্বায় ১৭-২০সেন্টিমিটার এবং ব্যাস ৪-৫ সেন্টিমিটার। চারা রোপণের ৫৫-৬০দিনের মধ্যে প্রথম ফল তোলা যায়। উন্নত পদ্ধতিতে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ফলন ২৫-৩০ টন পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনবে যে ফলের বীজ
গজ করলা: জাতটিতে সবুজ রঙের ১৫-২০ টি ফল ধরে (গাছ প্রতি)। হেক্টরপ্রতি ফলন ২০-২৫ টন পাওয়া যায়। জীবনকাল: মোট জীবনকাল প্রায় চার থেকে সাড়ে চার মাস। তবে জাত ও আবহাওয়া ভেদে কোন কোন সময় কম বেশি হতে পারে।
উৎপাদন মৌসুম: ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে যেকোনো সময় করলার বীজ বোনা যেতে পারে। কেউ কেউ জানুয়ারি মাসেও বীজ বুনে থাকেন। কিন্তু এ সময় তাপমাত্রা কম থাকায় গাছ দ্রুত বাড়তে পারে না, ফলে আগাম ফসল উৎপাদনে তেমন সুবিধা হয় না।
বীজের হার: করলা ও উচ্ছের জন্য হেক্টর প্রতি যথাক্রমে ৬-৭.৫ ও ৩-৩.৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়।
জমি তৈরি ও বপন পদ্ধতি: উচ্ছে ও করলার বীজ সরাসরি মাদায় বোনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে প্রতি মাদায় কমপক্ষে ২টি বীজ বপন অথবা পলিব্যাগে উৎপাদিত ১৫-২০ দিন বয়সের চারা রোপণ করতে হবে। উচ্ছের ক্ষেত্রে সারিতে ১.০ মিটার এবং করলার জন্য ১.৫ মিটার দূরত্বে মাদা তৈরি করতে হবে। বীজ রোপন করার কমপক্ষে ১০ দিন আগে সার প্রয়োগ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ দ্রুত ওজন কমানোর গোপন ফর্মুলা!
ফসল সংগ্রহ ও ফলন: চারা গজানোর ৪০-৪৫দিন পর উচ্ছের গাছ ফল দিতে থাকে। করলার বেলায় প্রায় ২ মাস লেগে যায়। স্ত্রী ফুলের পরাগায়নের ১৫-২০দিনের মধ্যে ফল খাওয়ার উপযুক্ত হয়। ফল আহরণ একবার শুরু হলে তার দু মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকে ফলন। উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে উচ্ছে ও করলার হেক্টরপ্রতি ফলন যথাক্রমে ৭-১০ টন এবং ২০-২৫ টন পাওয়া যায়।