শসা ভেজানো পানির অবিশ্বাস্য উপকারিতা
- কবিতা আক্তার
- আগস্ট ৫, ২০২১
গরমে শসা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কম-বেশি আমরা সবাই জানি। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্ত রাখে। তবে জানলে অবাক হবেন যে, কেবল শসাই নয়, শসা ভেজানো পানি খাওয়ারও রয়েছে আশ্চর্য উপকারিতা। চাক চাক করে কাটা শসা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে তৈরি হয়ে যাবে শসা ভেজানো পানি।
শসা ভেজানো এই পানির রয়েছে ভিন্ন স্বাদ। তাছাড়াও এর আছে বিস্ময়কর স্বাস্থ্যগুণ ও। বলা চলে, এমন স্বাস্থ্যকর পানীয় খুব কমই আছে। চলুন এবার শসা পানির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
আরো পড়ুনঃ লাউপাতায় ছুরি শুটকি দিয়ে ভর্তা
দূষণ প্রতিরোধ: শসার পানি খাওয়া মানে ব্যাপক পুষ্টিকর পানি পান করা। আর এই পানি মূত্রের মাধ্যমে দেহ থেকে দূষিত উপাদান বের করে দেয়। ফলে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
ত্বক: শসায় আছে বেশ কয়েক ধরণের এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা দেহের দূষিত উপাদানগুলোকে বিতাড়িত করে। এতে বলিরেখা, ব্রণ, র্যাশ ইত্যাদি দূর। ত্বক টানটান থাকে। শসা পানি তোকে কেবল ব্রণই ঠেকায় না, ব্রণের দাগ দূর করে।
ক্যান্সার: শসায় এক ধরনের উপাদান আছে, যার নাম কিউকারবিটাসিন। এটি দেহের একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ জানিয়েছেন, শসা ও স্ট্রবেরি প্রোস্টেট ক্যান্সার বাড়তে দেয় না।
পেশী গঠন: শসার সিলিকা এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে। এটি এমন এক খনিজ, যা আলোচনায় কম আসে। মানবদেহের স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় সিলিকা অতি জরুরী। দেহের কানেকটিভ টিস্যু যত্ন নেয় এটি। কাজেই পেশী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যায়।
হৃদযন্ত্র: দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বৃদ্ধিতে শসা পানি অনন্য। এটা সার্বিক স্বাস্থ্য অবস্থার ইলেক্ট্রোলাইট হিসেবে কাজ করে। পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাথেরোসক্লোরোসিস, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট ডিজিজ এর ঝুঁকি কমায়।
হাড়ের ঘনত্ব: অনেক ধরনের খনিজ থাকলেও শসা পানির সিলিকা ও ম্যাঙ্গানিজের কথা না বললেই নয়। শিশুদের হাড় গঠনে এসব উপাদান দারুন কাজের। হাড় শক্ত করে এবং ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যারা ছোটবেলা থেকেই শসা পানি খাবে, বয়স কালে তাদের একেবারে অস্টিওপোরেসিস এর ঝুঁকি থাকে না।
আরো পড়ুনঃ মুরগীর কলিজা ভর্তা
ওজন: এমনিতেই দেহে পর্যাপ্ত পানি দরকার। আর এর অভাব পূরণের জন্য শসা দারুণ এক সবজি। আবার শসায় ক্ষুধাও মেটে। শসা ভেজানো পানি সাধারণ পানির মতো হলেও এতে পুষ্টিগুণ অনেক। তিন বেলা খাবার গ্রহণের আগে শসা পানি খেলে বাড়তি খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।