ক্যাপসিকাম চাষ পদ্ধতি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ৫, ২০২১
ক্যাপসিকাম একটি জনপ্রিয় সবজি। বাংলাদেশ এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এর আকার আকৃতি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে।
বীজ বপন: এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রতিশোধের জন্য ১ গ্রাম বীজ দরকার। বীজ থেকে প্রথমে চারা তৈরি করে নিতে হয়। এজন্য বীজগুলোকে ১২ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে আগে থেকে তৈরি করে রাখা বীজতলায় ১০ সেন্টিমিটার দূরে দূরে লাইন করে বীজ বুনতে হবে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের কেমন টিফিন চাই
বেড তৈরি: বীজ বপনের ৭-১০ দিন পর চারার ৩-৪ পাতা হলে মাঝারি আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা স্থানান্তর করতে হবে। এরপর মূল জমি চাষ ও মই দিয়ে ভালোভাবে তৈরি করে নিতে হবে। এরপর বেড তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিটি বেড চওরা ২.৫ ফুট রাখতে হয়। দুই বেডের মাঝখানে নালা রাখতে হবে।
সাধারণত ৩০ দিন বয়সের চারা তৈরি করা বেডে ১.৫ ফুট দুরে দুরে লাইন রোপন করা হয়। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রা অনেক কমে যায় বলে পলিথিনের ছাউনি দিয়ে রাখলে ভেতরের তাপমাত্রা বেশি থাকে।
সার: প্রতি শতক জমির জন্য গোবর ৪০ কেজি, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসসি ১.৪ কেজি, এমওপি ১ কেজি, দস্তা ২০ গ্রাম, জিপসাম ৪৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হয়। এর মধ্যে অর্ধেক গোবর সার জমি তৈরীর সময়, বাকি অর্ধেক গোবর সম্পূর্ণ টিএসপি, দস্তা, জিপসাম, ১/৩ ভাগ এমওপি এবং ১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপণের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। ২/৩ ভাগ ইউরিয়া এবং এম ও পি পরবর্তীতে দুই ভাগ করে চারা রোপণের ২৫ এবং ৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
সেচ: ক্যাপসিকাম খরা ও জলাবদ্ধতা কোনটাই সহ্য করতে পারে না তাই প্রয়োজন অনুসারে জমিতে সেচ দিতে হবে। কোন গাছে ফল ধরার শুরু হলে খুঁটি দিতে হবে যাতে গাছের ফলের ভারে হেলে না পরে। জমির সব সময় আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
ফসল: ক্যাপসিকাম পরিপক্ক সবুজ অবস্থায় লালচে হওয়ার আগে মাঠ থেকে উঠানো যায়। সাধারণত সপ্তাহে একবার গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। ফল সংগ্রহের পর ঠাণ্ডা অথচ ছায়াযুক্ত স্থানে বাজারজাতকরণের পূর্ব পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে হয়। তবে ফল সংগ্রহের সময় প্রতিটি ফলে সামান্য পরিমাণে গোটা রেখে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘুম ভালো হওয়ার জন্য খাবার
রোগবালাই: ক্যাপসিকাম এ কিছু পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে আছে জাবপোকা, থ্রিপস পোকা, লালমাকড়, এ্যানথ্রাকনোজ রোগ, ব্লাইট রোগ ইত্যাদি। এসব রোগের আক্রমণ হলে নিকটস্থ কৃষি কর্মীর সঙ্গে পরামর্শ করে অনুমোদিত বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হবে।