গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৪, ২০২১
খুব সাধারণ ও স্বাভাবিক একটি বিষয় যে গর্ভাবস্থায় ওজন বাড়বে। তবে অনেকেই জানেন না, গর্ভাবস্থায় কতটুকু ওজন বাড়া উচিত। সর্বোচ্চ কতটা ওজন বাড়া স্বাস্থ্যকর, আর কতটা না বাড়লেই নয়, তা জানা থাকা প্রয়োজন। কারণ, একজন মহিলা যখন সন্তানসম্ভবা হোন তখন থেকেই তার শারীরিক অবস্থার সঙ্গে সন্তানের ভালোমন্দ জড়িয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ টবে গাজর চাষ করতে পারেন সহজ উপায়ে
অনেকে ভাবেন গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি খেয়ে ওজন বাড়ানো শিশুর বৃদ্ধির জন্য ভালো। আসলে কি তাই? অতিরিক্ত মুটিয়ে যাওয়া হিতে বিপরীতও হতে পারে। আবার অনেক স্বাস্থ্য সচেতন মা আছে যারা স্লিম ফিগার নিয়ে চিন্তিত থাকেন তারা চেষ্টা করেন ওজন যাতে বেশি না বাড়ে।
কিন্তু মনে রাখা দরকার, গর্ভাবস্থায় ডায়েট করা বা ওজন কমানোর চেষ্টা করাও শিশুর জন্য ক্ষতিকর। কতটুকু ওজন বাড়া স্বাভাবিক? গর্ভাবস্থায় সাধারণত ১০-১২ কেজি পর্যন্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া স্বাভাবিক। তবে এটা গর্ভধারণের আগের ওজনের ওপর নির্ভর করে। এসময় ওজন প্রতি সপ্তাহে আধা কেজি (৫০০ গ্রাম) করে বাড়া উচিত। তবে প্রথম তিন মাসে ওজন কিছুটা কম বাড়ে।
গর্ভকালীন সময়ে মায়ের ওজন কেনো গুরুত্বপূর্ণ? গর্ভবতীর স্বাস্থ্যকর ও স্বাভাবিক ওজন মা ও শিশু দুজনের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হলে গর্ভের শিশুর বৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হয়, এক্ষেত্রে শিশুরও ওজন কম হয়। এছাড়া প্রি-ম্যাচিউর বাচ্চা জন্মদানের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। অন্যদিকে মায়ের অতিরিক্ত ওজন গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন জটিলতা বাড়ে। মায়ের উচ্চ রক্তচাপ, প্রি-একলাম্পসিয়া, একলাম্পসিয়া ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে।
গর্ভস্থ শিশুর ওজনও অত্যধিক হয়ে যেতে পারে, বাচ্চা বড় হওয়ার কারণে নরমাল প্রসবের সময় শিশুর মাথা বের হয়ে ঘাড় আটকে যেতে পারে, এতে প্রসবকালীন শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দীর্ঘদিন ফ্রিজে থাকা মাছের টাটকা স্বাদ ফেরাতে পারবেন যে উপায়ে
সাধারণত গর্ভকালীন সময়ে যে ওজন বাড়ে, তা সন্তান জন্মের কিছুদিনের মধ্যে কমেও যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, ওজন বৃদ্ধি যেন অস্বাভাবিক না হয় বা কমও না হয়। নিয়মিত ডাক্তারের চেকাপে থাকতে হবে।