ভেষজগুণে সমৃদ্ধ ডুমুর
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ১৫, ২০২১
ডুমুরের ফুল না দেখলেও ডুমুর ফল আমরা সবাই দেখেছি। গ্রামের বন-বাদাড়ে দেখেছি। আমাদের চেনা ডুমুর খাবার হিসেবে অনেক জায়গাতেই পরিচিত। আমাদের দেশের রাজশাহী অঞ্চল, বিশেষত চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি, সিলেটের মৌলভীবাজার ও টাঙ্গাইলে ডুমুর তুলনামূলক বেশি জন্মে।
দেশের অন্যত্র বিক্ষিপ্তভাবে ডুমুর গাছ দেখা যায়। কাঁচা ফল অতি উন্নত সবজি। শুধু ডুমুর বা অন্যান্য সবজির সঙ্গে মিলিয়ে ডুমুর ভাজি অথবা এর ভর্তা উপদেয়। এছাড়া ছোট মাছের সঙ্গে ডুমুরের ঝোল রাধা হয়। ডুমুর খুবই উচ্চ মানের ভেষজ গুণসম্পন্ন উদ্ভিদ।
আরো পড়ুনঃ ক্যারট চিপস
বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় স্মরণাতীত কাল থেকে ডুমুরের পাতা, কাঁচা ও পাকা ফল, নির্যাস, বাকল, মূল প্রভৃতি কার্যকর ভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। প্রতি ১০০ গ্রাম ডুমুরে খাদ্যশক্তি ৩৭ কিলোক্যালরি, ১২৬ মাইক্রো গ্রাম ক্যারোটিন সহ ভিটামিন এ, বি, সি ও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। জেনে নিন ডুমুর শরীরকে কিভাবে ভালো রাখতে সক্ষম।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: ডুমুরিয়া আছে প্রচুর দরকারি ফাইবার। এ ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রকম পেটের গোলযোগ সহজে হতে দেয় না।
ওজন কমাতে সাহায্য করে: শরীরের মেদ নিয়ে যারা দুশ্চিন্তা করেন, তাদের জন্য ডুমুর উপকারী। এর ফাইবার মেটাবলিজম কে ঠিক রাখে এবং শরীরে অকারণ মেদ জমতে দেয়না।
উচ্চ রক্তচাপ: নানা কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ও পরিমিত ডুমুর ফল খেলে আমাদের শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়াম এর সামঞ্জস্য রক্ষা হয়। উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা কম হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ডুমুরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রিরেডিকেল নষ্ট করে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শুকনো ডুমুর রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড কে কমায়।
হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখে: ডুমুরিয়া প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন কমে গেলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায় যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ডুমুর আমাদের শরীরে আয়রনের পরিমাণ কে স্বাভাবিক রাখে।
আরো পড়ুনঃ বিয়ের কনেদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টিপস
ত্বকের জন্য উপকারী: শুধু খেতে ভালো তাইনা ডুমুরের ঔষধি গুণ নিয়ে অনেক প্রশংসা আছে। ডুমুর ফল কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, ফোড়া ও চর্ম রোগ নিরাময়ে বেশ কাজে দেয়।