কচুর লতির উপকারীতা ও অপকারীতা সম্পর্কে জানুন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- আগস্ট ২৩, ২০২১
কচুর লতি খুবই পরিচিত একটি সবজি। যদিও অনেকেই কচুর লতি খেতে পছন্দ করেন না। কারণ এই সবজিটি খেলে গলা ধরার সমস্যায় ভুগতে হয় অনেককেই। তবে সুস্বাদু এই খাবারটি সঠিক পদ্ধতিতে রাঁধলে মোটেও গলা ধরার ভয় নেই। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কচুর লতির উপকারী ও ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে-
কচুর লতির উপকারী দিকঃ
- গরমে শরীর থেকে পানি বেরিয়ে যায়। কচুর লতিতে প্রচুর পানি থাকে। সে কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কচুর লতি রাখা যেতে পারে।
- কচুর লতির আঁশ দেহ থেকে বর্জ্য বের করে দেয়, খাবার হজমে সাহায্য করে।
- যারা দ্রুত ওজন কমাতে চান তারা কচুর লতি খেতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের সমস্যা সমাধানে চন্দন ও দুধের প্যাক
- মুখি বা কচুর চেয়ে লতিতে শর্করার পরিমাণ কম। ফলে যারা শর্করা পরিহার করে চলেন তারা কচুর লতি খেতে পারেন।
- কচুর লতির ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন শক্ত করে।
- এতে থাকা আয়োডিন ও ভিটামিন বি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। ভালো রাখে ত্বক আর চুল।
- কচুর লতিতে থাকা ভিটামিন সি মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- কচুর লতিতে আছে প্রচুর লৌহ। যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন কচুর লতি তাদের জন্য ভালো পথ্য হতে পারে।
- এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ফোলেট, থায়োমিন ও রয়েছে।
- কচুর লতি রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
- কোলন ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। তবে শিশুদের বেশি করে তেল দিয়ে খাওয়ানো ভালো। এতে রাতকানা রোগের আশঙ্কা কমে।
কচুর লতির অপকারী দিকঃ
- কচুতে অক্সালেট রয়েছে। তাই রান্নার পরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে গলা খানিকটা চুলকায়। তাই কচুর লতির তরকারি খাওয়ার সময় কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
- অনেকক্ষেত্রে কচু খেলে শরীরে এলার্জি এবং হজমে সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে যাদের এ ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা কচু খাবেন না।
আরো পড়ুনঃ অবহেলা নয় ফোড়ার চিকিৎসায়
- এছাড়া যারা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ মাত্রার কোলেস্টেরল জনিত সমস্যায় আক্রান্ত বা উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, তারা কচুর লতি খাওয়ার সময় চিংড়ি ও শুটকি বর্জন করুন। নিরাপদ খাবার খান, সুস্থ থাকুন।