আপেল খাওয়ার ৫টি উপকারিতা
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
খিদে পেলেই তো হাতে তুলে নিচ্ছি বার্গার অথবা পিজ্জা। পেট ভরলে ভেবে নেই শরীরও ভরলো। যদিও এটি খুব ভুল ধারণা। আসলে এই ধরনের খাবার গুলো আমাদের শরীরকে আরো খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারো সমস্যা। ২০০৪ সালে আমেরিকায় ১০০ এরও বেশি খাবার এর ওপর গবেষণা করা হয়।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের বলিরেখা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়
মূলত খাদ্য গুলোর মধ্যে কতটা পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তা জানতে গবেষণা করা হয়েছিল। এরমধ্যে লাল এবং সবুজ আপেল যথাক্রমে ১২ এবং ১৩ তম স্থানে রয়েছে। আসুন দেখে নেয়া যাক আপেলের কোন কোন গুণ আমাদের কিভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
১. সাদা ঝকঝকে দাঁত: আপেল খেলে দাঁতের দারুন উপকার হয়। আপেল কামড় দিয়ে যখন আমরা চিবোতে শুরু করি তখন আমাদের মুখের ভেতর লালার সৃষ্টি হয়। এ পদ্ধতিতে দাঁতের কোনা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। এর ফলে সে ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতের কোন ক্ষতি করতে পারে না।
২. ক্যান্সার দূর করে: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপেল খেলে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের সম্ভাবনা প্রায় ২৩% হারে কমে। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনল থাকে। এছাড়াও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আপেলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান এর সন্ধান পেয়েছে যা ট্রিটারপেনয়েডস নামে পরিচিত।
আরো পড়ুনঃ বাদাম, চন্দনে ত্বকের যত্ন নিন
এই উপাদানটি লিভার, স্তন ক্যানসারের কোষ বেড়ে উঠতে বাধা দেয়। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ইন ইউএসএ গবেষণা থেকে জানা যায় যে, আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে ফাইবার থাকে তা মলাশয়ের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
৩. ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায়: যে সকল মেয়েরা প্রতিদিন আপেল খান, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ২৮% কমে যায়। কারণ, আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তার রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪. কোলেস্টেরল কমায়: আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তার অন্ত্রের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে। আর একবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করলে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
আরো পড়ুনঃ ইলিশের ঝোল রান্না
৫. হার্ট ভালো রাখে: আগেই বলা হয়েছে যে আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আপেলের খোসার মধ্যে যে উপাদান থাকে তা রক্তনালীর থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্টে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ফলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।