পেয়ারার পাতা দূরে রাখবে ডায়াবেটিস
- কবিতা আক্তার
- সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
বাজারে এখন পেয়ারা সহজলভ্য। পেয়ারা খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। শুধু স্বাদেই নয় এতে স্বাস্থ্যগুণও অনেক। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে পেয়ারা। পেয়ারা ও এর পাতায় আছে হাইপোগ্লাইসেমিক বা গ্লুকোজ বিরোধী প্রভাব। যা রক্তে শর্করা ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। এতে আরও আছে বেশ কিছু ক্যারোটিনয়েড, যেমন বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন, লুটিন, গামা ক্যারোটিন, বিটা ক্রিপ্টোক্সানথিন, ক্রিপ্টো ফ্লাভিন। এছাড়াও পেয়ারায় আছে ফেনোলিক যৌগ। পেয়ারায় আরো আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার ও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন- লোহা, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস।
আরো পড়ুনঃ চুল পড়া রোধ করবে আমলকীর তেল, প্রস্তুতপ্রণালী ও সংরক্ষণের উপায়সহ
একই সঙ্গে পেয়ারার পাতায় আছে অনেক মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বায়োএক্টিভ যৌগ। এছাড়াও পেয়ারা পাতা আছে পলিস্যাকারাইড, প্রোটিন, কোয়ারসেটিন, ক্যাফিক অ্যাসিড, এপিকেটেকিন ও হাইপারইন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার উপকারিতা বিষয়ে কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন পেয়ারা খেলে কমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
পেয়ারা শরীরের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ ফাইবারসমৃদ্ধ পেয়ারায় থাকে প্রচুর পরিমাণে পেক্টিন। যা অন্তরের মাধ্যমে গ্লুকোজ শোষণে বিলম্ব করে ফলে শরীরে হঠাৎ করে চিনি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পেয়ারা ফ্ল্যাভোনয়েড গ্লাইকোসাইড সমৃদ্ধ। শুধু পেয়ারা নয় পেয়ারার পাতাতেও ডায়াবেটিস বিরোধী উপাদান রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখন ঔষধ হিসেবে পেয়ারার পাতা ব্যবহৃত হয়।
খাবার পরে গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক রাখতে পেয়ারা পাতার নির্যাস পান করতে পারেন। এক্ষেত্রে পেয়ারার পাতা পরিষ্কার করে ১০-১২ মিনিট পানিতে ফুটিয়ে তা চায়ের মত করে পান করতে পারেন। এই পানি হতে থাকে। খাবারের পর এটি সেবনে রক্তের পরিমাণ ৩৭.৮ শতাংশ কমে যায়।
আরো পড়ুনঃ চুলের আগা ফাটা রোধে জাদুকরী হেয়ার প্যাক তৈরির পদ্ধতি
কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীরা যদি ৫-৭ সপ্তাহের জন্য পেয়ারা পাতার চা নিয়মিত পান করেন তাহলে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিবার খাওয়ার পর ডায়াবেটিস রোগীর উচিত পেয়ারা পাতার চা পান করা।