
হাড়ের ক্ষয় রোধ এবং পেটের চর্বি কমায় জলপাই
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
কাঁচা কিংবা পাকা যে কোন অবস্থাতে জলপাই খেতে বেশ সুস্বাদু। তাই যাদের পেটে সমস্যা, বদহজম কিংবা মুখে অরুচি আছে, তারা তাদের খাবার তালিকায় যুক্ত করে নিতে পারেন মৌসুমী ফল জলপাই। শুধু জলপাই ফল হিসেবে নয় এর তেল থেকে শুরু করে পাতারও রয়েছে নানা ঔষধি গুন। এছাড়া জলপাইয়ের রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ যা আপনার দাঁতের গোড়া মজবুত করতে হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে কিংবা ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে বেশ কার্যকর।
আরো পড়ুনঃ হাত-পায়ের চামড়া ওঠা শুরু করলে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে
অন্যদিকে জলপাইয়ের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ যা আপনার কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে করতে পারে। যেমন সহায়তা তেমনি ক্ষুদ্রান্ত থেকে শুরু করে পাকস্থলীর নানা জটিলতার সারিয়ে তুলতে বেশ সহায়তা করে। অন্যদিকে জলপাই থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা খুবই উপকারী মানব শরীরের জন্য।
তাই গুণে ভরা এ ফলটি লিকুইড গোল্ড কিংবা তরল সোনা নামেও বেশ পরিচিত। কিছুটা পেছন ফিরে তাকালে দেখা যায় গ্রীক সভ্যতার শুরু থেকেই জলপাই এর চাহিদা ছিল তাদের কাছে অন্যান্য ফলের চেয়ে সবচেয়ে বেশি। রান্নার কাজ থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞান সব জায়গায় তাই ইতিহাসের পাতায় ছিল জলপাইয়ের নানা ব্যবহার। তাই সেই আদিকাল থেকে পেটের চর্বি দূর করতে কিংবা সর্দি-কাশিতে জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মতো।
অন্যদিকে করোনাকালীন যারা ঠান্ডা ও সর্দি কাশি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে চান তারা প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন জলপাই কিংবা জলপাইয়ের তেল। এ তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে যাদের ত্বকে এলার্জি কিংবা রুক্ষতা রয়েছে তারা গোসলের পানিতে ১ চা চামচ তেল মিশিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার ত্বক যেমন মসৃণ হবে তেমনি তোকে থাকার র্যাশ কিংবা অ্যালার্জির সমস্যা দূর হবে খুব সহজেই। অন্যদিকে টক ফলটি ডায়াবেটিস কিংবা হার্টের রোগীদের জন্য কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃ ত্বকের যত্নে শসা ব্যবহার করবেন কেন?
তাই অনেকেই এই মুখোরোচক ফলটি ভর্তা কিংবা নানা পদের আঁচার এ রূপান্তর করে সারা বছর সংরক্ষণ করে থাকেন। যাতে সারা বছর আপনি এ গুণে ভরা ফলটি আপনার খাবার তালিকায় রাখতে পারেন এবং নিজেকে রাখতে পারেন সুস্থ আর বাড়াতে পারেন প্রতিরোধ ক্ষমতাও।