যেসব কারণে খাবেন গাব
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ১০, ২০২১
দেশি এবং বিদেশি দুই জাতের গাভীর মধ্যে বিলাতি গাবের কদর বেশি। গাঢ় বেগুনি লাল বিলেতি গাব ইউরোপে বাটার ফ্রুট বা ভেলভেট আপেল নামে পরিচিত। মখমলের মত খোসা ছাড়াতে থাকলে মিষ্টি ঘ্রাণ মুহূর্তের মন কেড়ে নেয়। দুধ সাদা ফল খেতে ততটাই মিষ্টি না হলেও মুখে দিলেই মাখনের মত গলে যায়। সুস্বাদু গাবের অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে।
ডায়াবেটিস হৃদরোগ থেকে শুরু করে নানা অসুখ বিসুখ প্রতিরোধ করে এই ফল। গ্রামেগঞ্জে একসময় সর্বত্রই গাব মিলত। কেমন অর্থনৈতিক গুরুত্ব ছিল না এই ফলের। কিন্তু আজকাল শহর এলাকায় ফেরিওয়ালার ভ্যানে করে গাছ বিক্রি করেন।
আরো পড়ুনঃ মর্নিং সিকনেস থেকে মুক্তি পাবার উপায়
আবার অনেক অভিজাত ফলের দোকানে গাব পাওয়া যায়। আর স্বাদে অতুলনীয় গাবের চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। স্বাদ ও পুষ্টির কথা বিবেচনা করে মৌসুমী ফল খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন সবাই।
প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী গাবে রয়েছে ৫০৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ৮৩ - ৮৪ গ্রাম জলীয় অংশ, ২.৮ গ্রাম আমিষ, ০.২ গ্রাম চর্বি, ১১.৮৮ গ্রাম শর্করা, ১.৮ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ১১.৪৭ গ্রাম চিনি, ৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৬ মিলিগ্রাম লোহা, ০.২ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ১১০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩০৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম।
গাবের এসব পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরকে রক্ষা করে নানা রোগ থেকে। বিশেষ করে গাবে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা সর্দি, জ্বর, কাশি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। উচ্চমাত্রায় খাদ্যশক্তি থাকায় গাব শারীরিক দুর্বলতা কমায়।
আরো পড়ুনঃ মর্নিং সিকনেসের কারণে শিশু কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে ?
গাবে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও গাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গাবে প্রচুর আঁশ থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এতে অন্ত্রের বিভিন্ন রোগ এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
গাবের ফসফরাস সহ নানা খনিজ উপাদান হৃদরোগও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া গাবের খোসার রস আমাশয় ও পাতলা পায়খানা ও উপশম করে।