গরমে যে ১০ কারণে জাম খাবেন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- অক্টোবর ২২, ২০২১
এখন জামের মৌসুম। বাজারে এখন জাম সহজলভ্য। টক-মিষ্টি স্বাদের ছোট ছোট কালো জাম দেখলে জিভে পানি চলে আসে নিশ্চয়! জামের স্বাদ সবারই জানা। জানেন কি? শুধু স্বাদে নয় বরং জমে আছে অনেক গুণ। হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে জামের।
জামে অনেক পুষ্টিগুণ আছে। ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন উপাদান আছে জামে। পেটে ব্যথা, ডায়াবেটিস এবং বাতের ব্যথা সারাতে জাম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এ পরামর্শ এবং পেট ফাঁপা সহ হজমজনিত বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় করে। জেনে নিন জামের বিভিন্ন উপকারিতা সমূহ-
আরো পড়ুনঃ কেন দেহের প্লাটিলেট কমে যায়, এর লক্ষণ কি? জেনে নিন বিস্তারিত
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো: জামে কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিস রোগীর দুর্বলতা, ঘনঘন তৃষ্ণা এবং প্রস্রাবের লক্ষণগুলোও নিরাময় করে।
শরীর ঠান্ডা রাখে: একটি জামে ৮৮ শতাংশ মিনারেল থাকে। এছাড়াও ফসফরাস এবং আয়োডিনের মত খনিজ গুলো একসঙ্গে থাকায় জাম খেলে শরীর আদ্র থাকে। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে জাম খাওয়া উচিত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জামে আছে ভিটামিন বি-১, বি-২, বি-৩, এবং বি-৬। সেই সঙ্গে এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। আরো আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ফ্রিরেডিকেলের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হাড়কে শক্তিশালী করে: জামে আছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম এর মত প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সমূহ। যা হাড় এবং আমাদের দাঁত মজবুত করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: জামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের মতো মরণব্যাধি সারাতেও কার্যকরী। গবেষণায় দেখা গেছে, জামে থাকা পলিফেনোল এর কারণে এটিঅ্যান্ডটি কারসিনোজেনিক বৈশিষ্ট্যযুক্ত। নিয়মিত জাম খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়।
রক্ত পরিশোধিত করে: জামে থাকা আয়রন এবং ভিটামিন সি রক্ত পরিশোধন করতে সহায়তা করে এবং রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।
সংক্রমণ রোধ করে: জামে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফেক্টিভ এবং এন্টি ম্যালেরিয়া বৈশিষ্ট্য আছে। এ ফলের মধ্যে ম্যালিক অ্যাসিড, ট্যানিনস, গ্যারিক অ্যাসিড, অক্সালিক অ্যাসিড এবং বেটুলিক অ্যাসিড আছে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোধে এই ছোট্ট ফলটি কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ জ্বর সর্দি-কাশি মুহূর্তেই সারাবে যে পানীয়
ব্রণ দূর করে: জামে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে যা ব্ল্যাকহেডস, পিম্পলস এবং ব্রণ সহ ত্বকের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করে। রক্ত পরিশোধিত হওয়ার কারণেই ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায় জাম খেলে। ত্বকের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায় জাম।
হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়: জামে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং ফসফরাস জাতীয় প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সমূহ হৃদযন্ত্র ভালো রাখে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ রোগ এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে জাম। এতে থাকা উপাদানসমূহ ধমনীগুলো কে সুস্থ রাখে এবং শক্ত হতে দেয় না।
হজম ক্ষমতা বাড়ায়: জামে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার আছে যা লিভারকে সক্রিয় করে এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাও দূর করে।