ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে পান করুন এই হার্বাল চা
- কবিতা আক্তার
- নভেম্বর ১৬, ২০২১
শুকনো করলার টুকরাকে পানিতে ভিজিয়ে এই চা তৈরি করা হয় এবং ওষুধ হিসেবে বিক্রি হয়। এটি গুঁড়ো বা নির্যাস হিসেবেও বাজারে পাওয়া যায়। এইচা করলার পাতা, ফল এবং বীজ দিয়েও তৈরি করা যায়। নিচে এর কিছু উপকারিতা দেওয়া হল..
১. রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: প্রাচীনকাল থেকেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার ব্যবহার হয়ে আসছে। করলার চা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ মায়ের জিন থেকেই শিশুর বুদ্ধি বিকশিত হয় !
২. রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে: এই চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৩. লিভার পরিষ্কার রাখে: লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে ফলে বদহজম রোধ করে।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে: এই চায়ে উপস্থিত ভিটামিন সি কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করেঃ করলা চায়ে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখে।
চা বানানোর পদ্ধতিঃ
কিছু পরিমাণ শুকনো বা তাজা করলার টুকরো, পানি এবং মিষ্টির জন্য স্বাদ মতো মতো মধু নিন। করলা গাছের পাতাও ব্যবহার করা যায়, তবে করলা সহজলভ্য তাই করলা ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ সিজারিয়ান সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা !
পানি ফুটিয়ে নিন, তার মধ্যে শুকনো করলার টুকরো দিয়ে ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে ফোটান যাতে করলার সমস্ত পুষ্টিদ্রব্য পানিতে মিশে যায়। আঁচ থেকে নামিয়ে আরও কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন।
এরপর কাপে চা ছেঁকে নিন এবং মিষ্টির জন্য মধু মেশান। আপনার করলার চা তৈরি। তবে রক্তে রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণে এই চা খেলে মিষ্টি ব্যবহার করবেন না।