ডিম পোচ নাকি সেদ্ধ? কোন ডিমের পুষ্টিগুণ কেমন, জেনে নিন
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ৪, ২০২১
ডিম খেতে কমবেশি সমস্ত বয়সের মানুষই ভালোবাসেন কিন্তু দিনে কটা ডিম খাবে ডিম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি জানেন? যেহেতু ডিমের কুসুমে অধিকমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে, তাই ধারণা করা হয়, যাদের হার্ট ডিজিজ রয়েছে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, তাদের জন্য ডিমের কুসুম ক্ষতিকর।
বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এটি প্রমাণিত হয়েছে, ডিমের কুসুম থেকে যে ক্লোরোস্টরেল পাওয়া যায়, তার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না। ডিমের ফলেট, কোলিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, লেটিন এবং জি-অ্যাকজানথাইন থাকে। অনেকেই কুসুম ছাড়া ডিম খান কিন্তু কুসুমসহ ডিম ক্ষতিকর নয়।
আরো পড়ুনঃ প্রাকৃতিক উপায়ে কমবে কোলেস্টেরলের মাত্রা
ডিম খাওয়া গর্ভবতী মা, শিশু, কিশোর, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের সঙ্গে এমন অনেক খাবার একসঙ্গে খেলে হতে পারে বিপদ। যেমন কলা, মধু, লেবু, টক দই ভুলেও খাবেন না ডিম খাওয়ার পরে।
জানেন কিভাবে ডিম রান্না করা উচিত?
ডিম রান্নার ব্যাপারে সবচেয়ে সহজ, পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হল ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া। বেশিরভাগ পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের ওমলেট না করে খাবার পরামর্শ দেন কারণ ডিম যে তেলে ভাজা হয়, তার মধ্যে কার সেচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
কাঁচা ডিম বা হালকা করে রান্না ডিম ও পুষ্টিযুক্ত, জীবাণু সংক্রমণের ব্যাপারে উদ্বেগ থাকলে ডিম রান্না করে খাওয়ায় সবচেয়ে নিরাপদ বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। যারা ওজন ঠিক রাখতে চাই কিংবা বাড়াতে না চায় তাদের ডিম পোচ না খাওয়াই ভালো। আর ব্লাড প্রেসারের সমস্যা থাকলে এটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুদের জন্য ডিম পোচ ভালো।
ডিম খাওয়ার অরুচি হলে ডিমের কারি রান্না করে ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারেন।
অমলেট ও সিদ্ধ ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন। ওমলেটে রয়েছে ৯০% ক্যালরি, ৬.৮ গ্রাম ফ্যাট, ২ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১০% ফসফরাস সিদ্ধ ডিমে রয়েছে ৭৮% ক্যালরি, ৬.৩% গ্রাম প্রোটিন, ৫.৩% গ্রাম ফ্যাট, ০.৬% গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১.৬% গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ১২.১০% ভিটামিন বি, ৯% ফসফরাস।
আরো পড়ুনঃ শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে মা-বাবার জন্য পরামর্শ
বিশেষজ্ঞদের মতে কখনো এমন ডিম কিনবেন না যা ভাঙ্গা পা ফাটা- কারণ সামান্য ফাটা থাকলেও সেখানে ধুলোবালি বা জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে।
ডিমকে ভালো রাখতে তা ফ্রিজে রাখুন। ডিম বাক্সের ভেতর থাকলে ডিমের সাদা অংশ তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুম ভালো থাকে তিনদিন। বরফের হিমায়িত অবস্থায় ডিমের সাদা ও কুসুম ভালো থাকে তিন মাস পর্যন্ত।