কাশি, জ্বর, ঋতুস্রাবের সমস্যার সমাধান করবে বকফুল
- ওমেন্স কর্নার ডেস্ক
- ডিসেম্বর ২৯, ২০২১
আমাদের প্রকৃতিতে বকফুল অনেক পুরনো। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফল লম্বা, প্রায় গোল, বীজপূর্ণ এবং গ্রন্থিল। বীজ থেকে সহজে চারা হয়। বৃদ্ধি দ্রুত, এক বছরে গাছে ফুল ও ফলবতি হয়। বর্ণবৈচিত্র্য তৈরীর জন্য তিন রঙের ফুল পরিকল্পিত বিথী গড়ে তোলা যায়।
শুকনো কাশি: শুকনো কাশি হলে ২-৩ টি বকফুল সম্পূর্ণ ঘিয়ে ভেজে প্রত্যহ খাবেন শুকনো কাশি কমে যাবে।
আরো পড়ুনঃ আপনার ওজন বাড়াবে প্রতিদিনের যে খাদ্য তালিকা !
ঘুষঘুষে জ্বর: বকফুল গাছের ছাল তিন থেকে পাঁচ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে এর সঙ্গে একটা হরিতকী মিশিয়ে চার কাপ পানিতে সিদ্ধ করুন। এক কাপ পানি অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে ছেঁকে নিন। সকালে এই সিরাপ একবার করে খাবেন ঘুষঘুষে জ্বর দূর হবে।
হঠাৎ নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকলে: ঠিকমতো কারণ বোঝা যাচ্ছে না অথচ হঠাৎ নাক দিয়ে পানি পড়তে শুরু করল। এরকম হলে বকফুল গাছের পাতার রস ২ চা চামচ পরিমাণ নিয়ে একটু গরম করে খান সেইসঙ্গে দু-এক ফোঁটা নাকে দিয়ে নস্যির মতো টান উপকার হবে।
সারা দেহে ব্যথা ও যন্ত্রণা: আধফোঁটা বকফুল এনে থেঁতো করে রস বের করুন। সেই রস ৩ চা চামচ করে সাড়া দিনে দু তিনবার খেলে উপকার পাবেন।
মৃগী রোগে: বকফুল পাতা থেঁতো করে রস বার করে সেই রস ৪ চা চামচ নিয়ে তার সঙ্গে সিকি গ্রাম গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে সকালে একবার বিকেলে একবার খেতে হবে।
আরো পড়ুনঃ নিজেই নিজের চেহারায় ফুটিয়ে তুলুন গোলাপি আভা
অল্প ঋতুস্রাবে: স্থুলকায় অর্থাৎ মেদবহুল চেহারা, কোমরে ব্যথা ও ঋতুস্রাব খুবই কম। এ অবস্থায় বকফুল থেঁতো করে রস বের করে সেই রস ২চামচ করে সকালে একবার বিকেলে একবার খেলে উপকার পাবে।